সীমান্তে দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার জাতীয় পতাকা উত্তোলন
পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর এলাকায় দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সাবেত আলী পতাকা স্ট্যান্ডের ফলক উন্মোচন করেন। এরপর স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে উপস্থিত অন্যান্য মানুষ সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা উত্তোলন করেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। তারা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার প্রত্যয় ও ভারতীয় আধিপত্যবাদ মেনে না নেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
স্থানীয়দের দাবি বিবেচনায় নিয়ে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৮ ফুট প্রস্থের পতাকা তৈরি করা হয়। এটি ১১৭ ফুট উচ্চতায় উত্তোলন করা হয়। এর আগে বাংলাবান্ধা সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে ১০০ ফুট উচ্চতায় জাতীয় পতাকা উত্তোলিত থাকলেও বাংলাদেশ অংশে স্বাভাবিক উচ্চতায় পতাকা উত্তোলন হতো। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত পতাকা স্ট্যান্ডসহ অবকাঠামো বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন উত্তরের সীমান্তে নিয়মিত ১১৭ ফুট উচ্চতায় লাল-সবুজের পতাকা উড়বে।
পঞ্চগড় পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম জুয়েল বলেন, ভারতের পতাকা উঁচুতে দেখে আমাদের মন কষ্ট পেত। আজ আমাদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হলো। লাল-সবুজের পতাকার মতো আমাদের সার্বভৌমত্বও মাথা উঁচু করে টিকে থাকবে।
এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেন, আগামীর বাংলাদেশে স্বাধীন পতাকা ও সার্বভৌমত্বের দিকে আধিপত্যবাদী কোনো শক্তি শোষণের দৃষ্টিতে তাকানোর সাহস দেখাবে না। যদি দেখায়, আমরা চব্বিশের মতো আবারও রক্ত দিয়ে মোকাবিলা করব।
পঞ্চগড়-১৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মনিরুল ইসলাম জানান, দেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার পতাকা স্ট্যান্ড বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং এটি গৌরবের প্রতীক হিসেবে সমুন্নত রাখা হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, পতাকা স্ট্যান্ড উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা নতুন ইতিহাসের সাক্ষী হলাম। লাল-সবুজের পতাকা আমাদের গৌরব ও অহংকারের প্রতীক।” তিনি পতাকা স্ট্যান্ড সুরক্ষায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি ফটক নির্মাণের ঘোষণা দেন।
