মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে বিক্ষোভ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজট

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আসলাম চৌধুরীকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ায় তার কর্মী ও সমর্থকরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি নেতা কাজী সালাহউদ্দিন, যিনি চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যায় প্রার্থীর নাম ঘোষণার পরপরই সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারি, জলিল টেক্সটাইল গেইট, মাদাম বিবিরহাট, পৌরসদর ও জোড় আমতল এলাকায় সমর্থকরা সড়কে ব্যারিকেড দেন। তারা টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ চালান, যার কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন সমকালকে বলেন, “বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী শুধু দলের সিনিয়র নেতা নন, তিনি দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। দীর্ঘ সময় কারাভোগ করেছেন। এমন নেতাকে মনোনয়ন না দিলে তা মেনে নেওয়া যায় না।”

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহাসড়কের সলিমপুর, ফকিরহাট, বাংলাবাজার এলাকায় নেতাকর্মীরা ২০-২৫টির বেশি গাড়ি ভাঙচুর করেছেন। হঠাৎ ব্যারিকেড দেওয়ায় মহাসড়কের উভয় পাশে ৪০ কিলোমিটারের বেশি যানজট সৃষ্টি হয়, যার কারণে হাজারো দূরপাল্লার গাড়ি আটকা পড়ে।

বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মমিন বলেন, সন্ধ্যায় সীতাকুণ্ডের পাঁচটির বেশি স্থানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পর্যন্ত নেতারা সড়ক থেকে সরেননি। এর ফলে মহাসড়কে ৪০ কিলোমিটারের বেশি যানজট তৈরি হয়েছে এবং হাজারো দূরপাল্লার গাড়ি আটকা পড়ে।

এ ঘটনায় সীতাকুণ্ড রেলওয়ে স্টেশনে আটকা পড়েছে ঢাকা থেকে আসা নাসিরাবাদ ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন। রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ সিদ্দিকী জানান, “সীতাকুণ্ড থেকে চট্টগ্রামের দূরত্ব ৪২ কিলোমিটার। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ব্যারিকেড দিয়েছে। যাতে ট্রেন বা যাত্রী ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, দুইটি ট্রেন সীতাকুণ্ড স্টেশনে আটকা রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ট্রেনগুলো গন্তব্যে পৌঁছে যাবে।”