উৎপাদন শুরুর ১২ ঘণ্টার মধ্যে ফের বন্ধ চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি
গ্যাস সংকটে সাত মাস বন্ধ থাকার পর অবশেষে শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উৎপাদন শুরু করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল)। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই আবার থেমে যায় উৎপাদন চাকা।
রোববার বিকেল ৩টা থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে কারখানায় ইউরিয়া উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল থেকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেডিসিএল) সিইউএফএলে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিলে কারখানার উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়। পরে ১৯ অক্টোবর বেলা ১১টা থেকে পুনরায় গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। এরপর থেকেই চলতে থাকে কারখানার যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের কাজ। সব প্রক্রিয়া শেষে শনিবার রাত থেকে ফের উৎপাদন শুরু হয়।
সিইউএফএল সূত্রে জানা গেছে, পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন চালাতে কারখানাটির দৈনিক ৪৮ থেকে ৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস প্রয়োজন। গ্যাস সংকট ও যান্ত্রিক নানা প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও গত অর্থবছরে কারখানাটি প্রায় আড়াই লাখ টন ইউরিয়া উৎপাদন করেছে। দেশের মোট বার্ষিক ইউরিয়া চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ টন, যার মধ্যে সিইউএফএলসহ বিসিআইসির বিভিন্ন কারখানা মিলে উৎপাদন হয় প্রায় ১০ লাখ টন। বাকি ১৬ লাখ টন ইউরিয়া উচ্চমূল্যে আমদানি করতে হয়।
১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর তীরে চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (সিইউএফএল) স্থাপন করে সরকার। চালুর সময় কারখানাটির দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ১ হাজার ৭০০ টন ইউরিয়া ও বার্ষিক ৫ লাখ ৬১ হাজার টন। তবে নানা কারণে বন্ধের আগ পর্যন্ত দৈনিক উৎপাদন কমে দাঁড়ায় ১ হাজার ২০০ টনে। পাশাপাশি এ কারখানায় বছরে ৩ লাখ ১০ হাজার টন অ্যামোনিয়া উৎপাদন সম্ভব।
কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, “রোববার রাত সাড়ে ৩টার দিকে উৎপাদন শুরু হয়েছিল। তবে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবার বন্ধ হয়ে গেছে। ত্রুটি মেরামতের কাজ চলছে, খুব দ্রুতই আবার উৎপাদন শুরু করা হবে।”
