পানি সংকটাপন্ন এলাকার জন্য প্রতিপালনীয় নির্দেশনা

Bangla Post Desk
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত:৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
পানি সংকটাপন্ন এলাকার জন্য প্রতিপালনীয় নির্দেশনা
ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশ পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ১৭ অনুযায়ী পানি সংকটাপন্ন এলাকার সুষ্ঠু পানি ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে জলাধার বা পানি ধারক স্তরের সুরক্ষার জন্য যথাযথ অনুসন্ধান, পরীক্ষা, নিরীক্ষা বা জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতে ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দ্বারা নিদিষ্ট সময়ের জন্য কিছু এলাকাকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম হাইড্রোলজিক্যাল অঞ্চলের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার ২৫টি উপজেলার ৪৭টি ইউনিয়ন অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন, ৪০টি ইউনিয়ন উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এবং ৬৬টি ইউনিয়ন মধ্যম মাত্রার পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার পটিয়া পৌরসভার ৫টি মৌজা অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এবং ৩টি মৌজা উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। উপজেলার ৩টি ইউনিয়নের ৭টি মৌজা অতি উচ্চ পানি সংকটাপন্ন, ৯টি ইউনিয়নের ২৭টি মৌজা উচ্চ পানি সংকটাপন্ন এলাকা এবং ৮টি ইউনিয়নের ৩০টি মৌজা মধ্যম পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। 

পানি সংকটাপন্ন এলাকার জন্য প্রতিপালনীয় নির্দেশনাসমূহ-

১। পানি সংকটাপন্ন এলাকায় বাংলাদেশ পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩ ও ১৮ অনুযায়ী পানি সম্পদের অগ্রাধিকার ভিত্তিক ব্যবহার যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে ;
২। খাবার পানি ব্যতীত অন্য কোন কারণে নতুন করে নলকূপ স্থাপন ও ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ থাকবে এবং খাবার পানি সরবরাহ ছাড়া অন্য কোন কারণে বিদ্যমান নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন বন্ধ থাকবে;
৩। ভূগর্ভস্থ পানি নির্ভর শিল্প বা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা যাবে না।
৪। খাল, বিল, পুকুর, নদী তথা কোন জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করা যাবে না এবং জলাশয়গুলো জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত রাখতে হবে;
৫। জনগণের ব্যবহারযোগ্য খাস জলাশয় ও জলমহালসমূহ ইজারা প্রদান নিরুৎসাহিত করতে হবে;

৬। জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহ বিঘ্নিত করা যাবে না;
৭। কোন জলাধারের সমগ্র পানি আহরণ করে নিঃশেষ করা যাবে না।
৮। ভূমি এবং পানির প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য নষ্ট/পরিবর্তন করতে পারে এমন কাজ করা যাবে না। 

৯। নদী-জলাশয়-লেক-জলাভূমিতে বসতবাড়ি, শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তরল ও কঠিন অপরিশোধিত বর্জ্য নির্গমন ও দূষণ করা যাবে না ;
১০। অধিক পানি নির্ভর ফসল উৎপাদন নিরুৎসাহিত/ সীমিত করতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে পানি সাশ্রয়ী ফসলের আবাদ বৃষ্টি করতে হবে ; এবং 
১১। জনসাধারণের সুপেয় পানি ও গৃহস্থালি কাজে পানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় অন্যান্য নির্দেশনা প্রদান করা যাবে। 

উল্লেখিত নির্দেশনা প্রতিপালন করা বাধ্যতামূলক; নির্দেশনা লঙ্ঘন বাংলাদেশ পানি আইন, ২০২৩ এর ধারা ২৯ এর সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ধারা অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে।

এসআর