ক্যারিবীয়দের কাছে বাংলাদেশের সিরিজ হার
বাংলাদেশের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২১ রান। কিন্তু স্পিনার আকিল হোসেনের সঠিক লেন্থ আর ভ্যারিয়েশনে একটি বাউন্ডারিও তুলতে পারেননি টাইগারদের শেষ জুটি। উল্টো রিশাদ হোসেন ও নাসুম আহমেদ আউট হন, আর এতেই শেষ হয়ে যায় লিটন দাসদের লড়াই। ১৪ রানের এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
চট্টগ্রামে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন হোপ। জবাবে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করে বাংলাদেশ।
এর আগে টসে জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে পাঠান লিটন দাস। শুরুটা ছিল ভয়ংকর—১১ ওভারে মাত্র একটি উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান তুলে ফেলে ক্যারিবীয়রা। তবে ইনিংসের মোড় ঘুরে যায় নাসুম আহমেদের হাতে। ১২তম ওভারে টানা দুই বলে দুই সেট ব্যাটারকে ফেরান তিনি। এরপর চাপ বাড়ান রিশাদ হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ ৯ ওভারে মাত্র ৪৪ রান তুলতে পারে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, হারায় ৮ উইকেট।
বল হাতে দারুণ ছন্দে থাকলেও ব্যাটে ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ। ধীরগতির শুরুতেই চাপে পড়ে যায় দলটি। সাইফ হাসান (১১ বলে ৫) ও লিটন দাস (১৫) আউট হওয়ার পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন তানজিদ হাসান। তবে চারবার জীবন পেয়ে সুযোগটা কিছুটা কাজে লাগান। ৪৮ বলে ৬১ রানের লড়াকু ইনিংস খেলেন তিনি।
এদিকে, তার সঙ্গীরা ছিলেন ব্যর্থ। তাওহীদ হৃদয় ১৮, জাকের আলী ১৭ রানের বেশি করতে পারেননি। শেষ দিকে শামীম, রিশাদ বা তানজিম কেউই ম্যাচে ফেরাতে পারেননি দলকে।
১৬ ওভার শেষে ম্যাচের সমীকরণ ছিল ৪২ রান দরকার, হাতে সাত উইকেট। কিন্তু সেখান থেকে শেষ ২৪ বলে বাংলাদেশ তোলে মাত্র ২৯ রান, হারায় ৫ উইকেট।
অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে সফল ছিলেন আকিল হোসেন ও রোমারিও শেফার্ড। আকিলের বোলিংই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের আশা শেষ হয়।
এই ম্যাচ হারে সিরিজও হারল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ১৬ রানের পর এবার ১৪ রানে পরাজয়।
আগামী শুক্রবার সিরিজের শেষ টি–টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে দুই দল।
