রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
রাজশাহীতে খানকা শরিফে হামলা-ভাঙচুর

রাজশাহীর পবা উপজেলায় একটি খানকা শরিফে হামলা ও ভাঙচুর করেছে একদল লোক। শুক্রবার উপজেলার বড়গাছি ইউনিয়নের পানিশাইল চন্দ্রপুকুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান ভান্ডারি প্রায় ১৫ বছর আগে বাড়ির পাশে নিজের জমিতে ওই খানকা শরিফ তৈরি করেন। তিনি তাঁর ভক্তদের কাছে ‘পীর’ হিসেবে পরিচিত।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ওই খানকায় তিন দিনের আয়োজন ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আয়োজন শুরু হয়। সেখানে শিল্পীরা আসছিলেন, ভান্ডারি ও মুর্শিদী গান হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে আগে থেকেই উত্তেজনা ছিল। আজ জুমার নামাজের পর হামলার শঙ্কায় দুই গাড়ি পুলিশ নিয়ে সেখানে ছিলেন পবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম। তবে হামলার সময় উত্তেজিত জনতাকে পুলিশ বাধা দেয়নি।

হামলার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, দেড় শতাধিক লোক খানকা শরিফে আক্রমণ করেন।

হামলার সময় বাড়ি থেকে বের হননি আজিজুর রহমান ভান্ডারি। তিনি বলেন, কয়েক দিন ধরে এলাকার কিছু লোক তাঁদের অনুষ্ঠানে বাধা দিচ্ছিলেন। আজ জুমার নামাজের পর তাঁরা একত্র হয়ে খানকা শরিফে হামলা করেন। ভক্তরা তাঁকে বাড়ি থেকে বের হতে দেননি। তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল ছোড়া হয়েছে। তাঁর দাবি, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য ও বিএনপির নেতা গোলাম মোস্তফা হামলায় নেতৃত্ব দেন। তাঁর সঙ্গে জামায়াতের কর্মীরাও ছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘হামলার সময় আমি ছিলাম না। পরে এসে শুনছি যে এমন ঘটনা ঘটে গেছে।’ আর উপজেলা জামায়াতের আমির আযম আলী বলেন, ‘আমাদের দলের লোকের কাজ নাই তো, তারা গেছে খানকা ভাঙতে! আমরা নিজেদের কাজই করে শেষ করতে পারছি না।’

এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী হোসেন বলেন, ‘গোলাম মোস্তফা বিএনপির পুরোনো লোক। তিনি এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন কি না, আমার জানা নেই।’

পবা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘গত রাতে থানায় অনেক মানুষ এসেছিল খানকার বিষয়ে। আমি সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছিলাম। তারপরও উৎকণ্ঠা থাকায় পুলিশ গিয়েছিল। পুলিশ একটু দূরে ছিল। তখনই উত্তেজিত জনতা এটা করে ফেলে। মানুষ এত বেশি, অল্প কয়েকজন পুলিশের কিছুই করার ছিল না। এখন অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে থানায় কোনো অভিযোগ করবেন না বলে জানিয়েছেন আজিজুর রহমান ভান্ডারি। তিনি বলেন, ‘পুলিশ ছিল, ডিবি ছিল, ওসি নিজেই ছিলেন। সেখানে তাঁরা রক্ষা করেন না, অভিযোগ করব কার কাছে?’