কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক ৫

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৩ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক ৫

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় স্বামীর সামনেই স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার দিন রাতেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়কের উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের মসলেমপুর এলাকার ফাঁকা মাঠ নামক স্থানের একটি লিচু বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে অভিযোগ উঠেছে, শনিবার রাত ১১টার দিকে ওই ঘটনার পর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত ভুক্তভোগী নারী ও তার স্বামীকে হাসপাতালে না পাঠিয়ে থানায় নিয়ে এসে বসিয়ে রাখে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ভুক্তভোগী ওই নারী (২৬) পেশায় একজন হোটেল কর্মচারী। ভেড়ামারা উপজেলার জুনিয়াদহ ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি। বারো মাইল এলাকার ওই হোটেলে কাজ শেষ করে রাতে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে ভ্যানযোগে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। এ সময় উপজেলার মসলেমপুর ফাঁকা মাঠ এলাকা থেকে একদল দুর্বৃত্ত তাদের গতিরোধ করে। এরপর স্বামীকে মারধর করে বেঁধে রেখে ওই নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।

ঘটনার পরপরই ভেড়ামারা থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ৫ জনকে আটক করে।

আটকৃতরা হলেন— মসলেমপুর গ্রামের কালু প্রামানিক (৪৬), ষোল দাগ এলাকার মুর্শিদ শেখ (৪৫), টিটু মন্ডল ওরফে টিপু (৪২), এজাজুল (৪২) এবং ভ্যানচালক রুবেল আলী (২৪)।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের মধ্যে তিনজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

অন্যদিকে, ঘটনার পর ভুক্তভোগী ওই নারী ও তার স্বামীকে পুলিশ ভেড়ামারা থানায় নিয়ে আসে। এরপর রাতভর তাদের থানায় রাখা হয়। সে সময় সাংবাদিকরা কথা বলার চেষ্টা করলেও ভেড়ামারা থানা পুলিশ তাদের বাধা দেয়।

ভুক্তভোগী নারীকে রাতেই থানায় নেওয়া হলেও সকাল ৯টা পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করতে হয়েছে। ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও তাকে কোনো চিকিৎসাকেন্দ্রে পাঠানো হয়নি। এ নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও জনমনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা শেষে ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য হাসপাতালে পাঠানো হবে।’

পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ ফোন করা হলে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে ওই নারী দাবি করেছেন যে তিনি ধর্ষিত হয়েছেন। তার দেওয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা পাঁচজনকে আটক করেছি।’