প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দাদি-ভাবিকে হত্যা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৭ জুলাই ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় দাদি-ভাবিকে হত্যা
ছবি : সংগৃহীত

বগুড়ায় প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় এক কিশোরীর দাদি ও ভাবিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় প্রেমের প্রস্তাব দেওয়া তরুণীকেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়েছে।

বুধবার (১৬ জুলাই) রাতে বগুড়া শহরের হরিগাড়ি ইসলামপুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সৈকত হাসানকে ডিবি পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে শহরের খান্দার এলাকায় পাসপোর্ট অফিসের পাশ থেকে গ্রেফতার করেছে। তার দেয়া তথ্য অনুসারে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য বিকালে তাকে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়েছে।

নিহতরা হলেন- বগুড়া শহরের ইসলামপুর হরিগাড়ি এলাকার মৃত আবদুল কুদ্দুসের স্ত্রী লাইলী বেওয়া (৮৩) ও তার নাতি পারভেজ ইসলামের স্ত্রী হাবিবা ইয়াসমিন (২১)। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন বৃদ্ধার অপর ছেলে বুলবুল ইসলামের মেয়ে স্কুল ছাত্রী কিশোরী মেয়ে।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, একই এলাকার সোহেল ইসলামের বখাটে ছেলে সৈকত ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ওই কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিশোরী ও তার পরিবার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এতে সৈকত ক্ষিপ্ত হয় এবং প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে।

বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সৈকত ও ৭-৮ জন দুর্বৃত্ত ঘরে ঢোকে। সৈকত প্রথমে হাবিবা ও পরে লাইলী বেওয়াকে গলাকেটে হত্যা করে। টের পেয়ে কিশোরী বাধা ও চিৎকার দিলে তাকেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর সৈকত ও অন্যরা পালিয়ে যায়। বন্যার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে রক্তাক্ত তিন জনকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক লাইলী ও হাবিবাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া গুরুতর আহত বন্যাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বগুড়া ডিবির ওসি ইকবাল বাহার আরও জানান, ঘটনার পর কিশোরীর স্বীকারোক্তিতে সৈকতকে চিহ্নিত ও বৃহস্পতিবার সকালে শহরের খান্দার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সৈকত হত্যার কথা স্বীকার করে। তার দেওয়া তথ্য মতে হত্যায় ব্যবহৃত চাকুটি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিকালে সৈকতকে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার জন্য বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মঞ্জুর বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ইতিমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত সৈকতকে ধরতে সক্ষম হয়েছি। আহত কিশোরী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।