পতেঙ্গা সৈকতে গুলিবিদ্ধ ‘ঢাকাইয়া’ আকবর নিহত


গুলিবিদ্ধ হওয়ার একদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবর। রবিবার সকাল আটটায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক।
এর আগে শুক্রবার রাতে নগরের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রকাশ্যে গুলি করা হয় তাকে। এতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। একই ঘটনায় এক শিশুসহ আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হন।
পুলিশের ধারণা, প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হয়েছেন তিনি। আলী আকবর নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার চালিতাতলী পূর্ব মসজিদ জব্বার সওদাগর বাড়ির মোহাম্মদ মঞ্জুরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, কারাগারে বন্দি ‘সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ’ ও বিদেশে পলাতক ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী খানের সঙ্গে ঢাকাইয়া আকবরের বিরোধ রয়েছে। তাদের নিয়ে কটূক্তি করে বিভিন্ন সময় ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে পোস্ট করতেন তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকাইয়া আকবর বিদেশে পালিয়ে থাকা ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ আলী খানের অনুসারী ছিলেন। তার নামে নগরের বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করতেন তিনি। কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গুলি কিংবা পেট্রোল বোমা ছুড়ে মারতেন। কয়েক বছর আগে সাজ্জাদের সঙ্গে তার দূরুত্ব তৈরি হয়।
২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সাজ্জাদের ভাই ওসমান আলীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দেওয়া তার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সাজ্জাদ আলীর অনুসারী বর্তমানে কারাগারে বন্দী ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে বিরোধে জড়ান ঢাকাইয়া আকবর। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর লক্ষীপুর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর জামিনে বের হন তিনি।