বাস ডিপোর দখল নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:২৯ পিএম
বাস ডিপোর দখল নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপি-স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকার নীলাচল বাস ডিপোর দখল নেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুপক্ষের অন্তত সাতজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে মৌচাক মুক্তাঝিল আবাসিক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমানের অনুসারীরা এ সময়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়।

স্থানীয়রা জানান, নীলাচল পরিবহনের বাসের ধাক্কায় মুক্তাঝিল এলাকার একটি মসজিদের দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হলে লোকজন নিয়ে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান নীলাচল বাস কর্তৃপক্ষকে বাস ডিপো সরিয়ে নিতে বলেন।

এ সময় তাদের মধ্যে এই মর্মে সমঝোতা হয় যে, দুই মাসের মধ্যে ডিপোটি সরিয়ে নেওয়া হবে। এরপর রাতেই বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব পাপ্পু বলেন, ‘মসজিদের কার্নিশ বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে আমরা ডিপো সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানালে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইকবাল বাহিনীর ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছি।’

অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নাসিক ২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশের নেতৃত্বে ৫০-৬০ জন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় ফিরোজ নামে যুবদলের এক নেতাকে কুপিয়ে জখম করা হয় এবং ইসমাইল নামের একজনকে তুলে নিয়ে মারধর করা হয়েছে। বর্তমানে তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আমি অসুস্থ থাকার কারণে এ ঘটনার কিছুই জানি না। তবে শুনেছি, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা নীলাচল বাস কর্তৃপক্ষের কাছে মসজিদের ক্ষতিপূরণের জন্য টাকা চেয়েছে।’

নীলাচল পরিবহনের কর্মকর্তা আবুল হাশেম বলেন, ‘নীলাচল পরিবহনের গাড়ি চলাচলের সময় মসজিদের লাইট ও কার্নিশ ভেঙে যায়। এরপর মিস্ত্রি এনে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করতে গেলে মসজিদ কমিটির সভাপতি মাহমুদ হাসান পাটোয়ারীর সঙ্গে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব মমিনুর রহমান বাবুর লোকজন হামলা চালায়। এতে আবুল হাশেম, হাসান মাহমুদ, আবু সিদ্দিক ও বিল্লাল হোসেন আহত হন।’

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহীনুর আলম বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষ থানায় অভিযোগ দিয়েছে।’