ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামী ছাত্রী সংস্থার সদস্যদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিনের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৯ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এ বিষয়ে তার এক মন্তব্যকে ঘিরে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ফেসবুক পোস্টে তিনি ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রী সংস্থার ঢাবি শাখার সদস্যদের সৌজন্য সাক্ষাতের ছবি যুক্ত করে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের এক মন্তব্যের উত্তরে তিনি অশালীন ইঙ্গিতপূর্ণ শব্দ ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরেকটি মন্তব্যের উত্তরে তিনি লেখেন, ‘লুঙ্গির তলেও দারুণ পর্দা হয়। আমাদের পর্দায় সমস্যা না, সার্কাসে সমস্যা। বুঝতে পার পারিছো গেদা।’
আরেফিনের এসব মন্তব্যকে ঘিরে বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টে তার মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন তারা।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত হাসান সাকিব নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘এই হলো রাজনীতি, ছিঃ মুখে থু!’
পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা লিখেছেন, ‘তথাকথিত প্রগতিশীল নারীবাদীরা এখন কই গেছে? এসব নিয়ে তো তাদের কোনো আওয়াজ দেখছি না। নাকি দাড়িওয়ালা পুরুষ আর হিজাব পরিহিত নারীকে নিয়ে যা খুশি বলা বৈধ? এই কমেন্টের মাধ্যমে পুরো নারী জাতিকে অপমান করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জবি ছাত্র শিবিরের সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম প্রতিবাদ জানিয়ে ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব নিয়ে এমন কটূক্তিমূলক কথা বলা জাহেলিয়াতের চরমতম বহির্প্রকাশ। পর্দা করা মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কোনো মুসলিম পরিবারের মানুষ এমন মন্তব্য করতে পারে না। নৈতিকতাবিবর্জিত মানুষের মতো আচরণ একজন গুরুত্বপূর্ণ ছাত্রনেতার মুখে বেমানান।’
তিনি আরও বলেন, ‘বামদের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যারা নিজেকে নব্য ইসলামবিদ্বেষী প্রমাণ করতে চান, তাদের জানা উচিত, এদেশে ইসলামের শিকড় অনেক গভীরে।’
এদিকে, শামসুল আরেফিন এক মন্তব্যে সমালোচনার জবাব দিয়ে লিখেছেন, ‘পর্দার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। আমার বক্তব্য ভিসি মহোদয়ের হিপোক্রেসির উপর— একদিকে রাজনীতি প্রমোট করেন, অন্যদিকে নিষিদ্ধ। নারী ও তাঁর ধর্মীয় স্বাধীনতায় আমার আজন্ম শ্রদ্ধা।’