চাপ দিয়ে ভিসিকে অপসারণ করলে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ: কুয়েট শিক্ষক সমিতি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৭:০৭ পিএম
চাপ দিয়ে ভিসিকে অপসারণ করলে শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ: কুয়েট শিক্ষক সমিতি

দোষী প্রমাণিত না হলে চাপ প্রয়োগ করে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসির অপসারণ মেনে নেবে না কুয়েট শিক্ষক সমিতি। তারা বলেছেন, চাপ প্রয়োগ করে ভিসিকে অপসারণ করলে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষাকার্যক্রম বন্ধ রাখবে কুয়েট শিক্ষক সমিতি।

কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান শিক্ষক সমিতির নেতারা। এ সময় তারা বলেন, শিক্ষক লাঞ্ছনাকারীদের যথোপযুক্ত শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের একাডেমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবে না শিক্ষকরা।

এছাড়া সবপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা না বলায় হতাশা প্রকাশ করেন শিক্ষকরা। এ সময় কথা বলেন— শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি। অল্প কয়েকজন মিছিল করলে সাংবাদিকরা সংবাদ করেছে যে, কুয়েট উত্তাল, অথচ কুয়েটে শিক্ষার্থী ৫ হাজারেরও বেশি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে, যা দুঃখজনক। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে মারধর করেছে, গায়ে ধুতু দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্চিত হয়েছেন, তাদের নিয়ে কটুক্তি করা হয়েছে। তিনি এসবের বিচারও দাবি করেন।’

মহান জুলাই আন্দোলনের পর নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মব কালচারের মাধ্যমে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সম্মানিত উপাচার্য অপসারণ হতে পারে না। এই ধরনের কালচার শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করবে এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও একই রকম মব কালচারের আশঙ্কা তৈরি হবে বলে শিক্ষক সমিতির বার্তায় জানানো হয়।

এছাড়া মব কালচারের ওপর ভিত্তি করে সরকারকে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করার অনুরোধ করেন তারা। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি তা মেনে নেবে না এবং শিক্ষক সমাজ প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে জানান তারা।