চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির চ্যাম্পিয়ন ভারত


বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতে হয়েছিল ভারতকে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে সেই হারের শোধ তোলার মোক্ষম সুযোগ হাতছাড়া করেনি তারা। রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের ফাইনালে কিউইদের ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রোহিত শর্মারা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয় আইসিসি ইভেন্টের ট্রফি জিতলো ভারতীয়রা।
২৫২ রানের লক্ষ্য। করতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন। অধিনায়ক রোহিত শর্মা শুরুটা করেছিলেন হাত খুলে। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে কাইল জেমিসনকে ছক্কা মারেন ভারতের ওপেনার। একই আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে খেলে গেছেন তিনি। ১১তম ওভারে ৪১ বলে করে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। শুবমান গিলের সঙ্গে ১০৫ রানের জুটি ছিল তার। এরপরই হঠাৎ ছন্দপতন।
বিনা উইকেটে ১০৫ রান করা ভারত ১২২ রানে হারায় তিন উইকেট। গিল, বিরাট কোহলির পর রোহিত মাঠ ছাড়েন। তারপর ক্রিজে নেমে শ্রেয়াস আইয়ার ওই ধাক্কা সামলে নেন। লং অনে ৪৬ রানে কাইল জেমিসনের হাতে জীবন পেয়ে নিউজিল্যান্ডকে আক্ষেপে ভাসান তিনি। তবে ৩৯তম ওভারে তাকে থামতে হয়েছে। ৪৮ রানে মিচেল স্যান্টনারের বলে রাচিন রবীন্দ্রর ক্যাচ হন শ্রেয়াস।
তারপর হার্দিক পান্ডিয়া ও লোকেশ রাহুল আক্রমণাত্মক জুটিতে দলকে জয়ের পথে রাখেন। লক্ষ্য থেকে ১১ রান দূরে থাকতে হার্দিক ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে আউট হন। জেমিসনকে ফিরতি ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তবে পথ হারায়নি ভারত। রবীন্দ্র জাদেজা ও রাহুল মিলে এক ওভার হাতে রেখে দলকে জেতান।
ভারত লক্ষ্যে নেমে দারুণ শুরু করে। সপ্তম ওভারে ড্যারিল মিচেলের হাত ফসকে জীবন পাওয়া গিল আরেকপ্রান্ত আগলে রাখেন। দুই ওপেনার পাওয়ার প্লেতে ৬৪ রান তোলেন, যার মধ্যে গিল করেন মাত্র ১০ রান।
১৭ ওভার শেষে ভারতের স্কোর বিনা উইকেটে ১০০ রান। ১৯তম ওভারে মিচেল স্যান্টনারের শিকার হন গিল, করেন ৩১ রান। কোহলি ২ বল খেলে এক রান করে মাইকেল ব্রেসওয়েলের বলে আউট হন। রোহিতকে ৭৬ রানে ফেরান রাচিন রবীন্দ্র। এই বিপর্যয়ের রেশ বেশিক্ষণ থাকেনি।
এর আগে ওপেনিংয়ে ৫৭ রান করা নিউজিল্যান্ড মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ফিফটিতে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান করে।