আজ শুরু বাংলাদেশের-ওয়েস্ট ইন্ডিজের টি-টোয়েন্টি সিরিজ
আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে ঘরের মাঠেই একরকম প্রস্তুতি সেরে রাখতে চাইছেন লিটন দাস।
সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামের বীর শ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে। আজ সোমবার মাঠে গড়াবে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। ময়দানী লড়াই শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়, যা সরাসরি সম্প্রচার করবে টি স্পোর্টস ও নাগরিক টিভি।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের সূচিতে আছে মাত্র দুটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ। একটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, আরেকটি আগামী মাসে ঘরের মাঠে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
বিশ্বকাপের প্রস্তুতি মাথায় রাখলেও শুরুতে জয় পাওয়া বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, লাল-সবুজরা টানা পঞ্চম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে নামছে। তার আগে শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, নেদারল্যান্ডস ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের চারটি সিরিজই জিতেছে তারা।
সম্প্রতি ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সুপার ওভারে হার কিছুটা অস্বস্তি তৈরি করে স্বাগতিক শিবিরে। তবে তাদের জন্য অনুপ্রেরণার দিকটি হচ্ছে গত বছর ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
তাতে সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি সাফল্য এবং আগের মুখোমুখি লড়াইয়ের ফল বাংলাদেশকে এই সিরিজে স্পষ্ট ফেভারিট করে তুলেছে।
দলে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে অধিনায়ক লিটন দাসের প্রত্যাবর্তন। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন বাইরে থাকা লিটন এখন দলের সবচেয়ে ফর্মে থাকা ব্যাটার এবং টি-টোয়েন্টিতে দেশের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক।
এশিয়া কাপে চোট পাওয়ায় ভারতের ও পাকিস্তানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচসহ আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজেও খেলতে পারেননি তিনি। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজেও ছিলেন না। লিটনের মতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও আয়ারল্যান্ড—দুই সিরিজেই দলকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া উচিত, তাহলেই সঠিক বিশ্বকাপ প্রস্তুতি সম্ভব, ‘আমি চাই আমাদের দল এই দুই সিরিজে ভালোভাবে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ুক—তা বোলিং বা ব্যাটিং যেটাতেই হোক না কেন। কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলতে পারলেই আমাদের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি আরও ভালো হবে।’
প্রথম ম্যাচে জয় পেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয়-পরাজয়ের ব্যবধান সমান করার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ১৯ বার। যার মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ৮ ম্যাচে, হেরেছে ৯টিতে।
