বাবার পথে ছেলে; পর্তুগালে যাত্রা শুরু রোনালদো জুনিয়রের


বাবার মত কি হতে পারবে ছেলে? রোনালদো জুনিয়রকে নিয়ে এমন প্রশ্ন এর আগেও উঠেছে। তবে, কিংবদন্তি বাবার পথ ধরেই চলতে শুরু করেছে ক্রিশ্চিনো রোনালদোর ছেলে। নিজে দেশের হয়ে প্রথমবার ডাক পেলো রোনালদো জুনিয়র। তাকে নেয়া হয়েছে পর্তুগালের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে।
ক্লাব ফুটবলে সৌদি আরবের আল নাসরে খেলেন এখন রোনালদো। একই ক্লাবের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে খেলে রোনালদোর পুত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়রও। আল নাসর জুনিয়র দলের হয়ে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভাল খেলেছে জুনিয়র। খেলে ফরোয়ার্ডের ভূমিকায়।
বাবার মতোই গোলের পর গোল করতে পারে। এ বিষয়টাই নজর কেড়েছে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলের কোচ হোয়াও সান্তোস। তাই তাকে ডাকা হয়েছে ২২ সদস্যের অনূর্ধ্ব-১৫ জাতীয় দলে। তার বাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগালই নয় শুধু, সব দেশ মিলিয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা। এখনও পর্যন্ত ১৩৬টি গোল করেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন ২১৯টি।
১৩ থেকে ১৮ মে ক্রোয়েশিয়ায় ‘ভ্লাতকো মার্কোভিচ ইন্টারন্যাশনাল’ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে পর্তুগালের জার্সিতে খেলতে দেখা যাবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জুনিয়রকে। পর্তুগাল ছাড়া আরও চারটি দেশের খেলার যোগ্যতা রয়েছে রোনালদো-পুত্রের। আমেরিকা, স্পেন, ইংল্যান্ড ও কেপ ভার্দের হয়েও খেলতে পারে সে। তবে শুরুতে বাবার দেশকেই বেছে নিয়েছে জুনিয়র।
পুত্রের এই কীর্তিতে খুশি পিতা রোনালদো। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত।’ ক্রোয়েশিয়ায় পর্তুগাল খেলবে জাপান, গ্রিস, ইংল্যান্ড এবং চর্তুথ আরও একটি দেশ।
তবে কি ভবিষ্যতে পিতা-পুত্রকে এক দলে দেখা যাবে? সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে রোনালদো বলেন। ‘আমি চাই সেটা হোক। আমার খুব ভাল লাগবে। তবে এমন নয় যে সেটা না হলে আমার রাতের ঘুম উড়ে যাবে। দেখা যাক কী হয়। এটা তো আর আমার হাতে নেই।’
৪০ বছরের রোনালদো এখনও পর্তুগালের জাতীয় দলে খেলছেন। কবে অবসর নেবেন তিনি জানাননি। আগামী বছর আমেরিকায় ফুটবল বিশ্বকাপেও খেলতে পারেন তিনি। পর্তুগালের হয়ে ইউরো কাপ জিতলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেননি সিআর সেভেন। সেই লক্ষ্যেই পরের বছর নামতে পারেন তিনি।