অলিম্পিক ক্রিকেটে খেলবে ৬টি দল, কপাল পুড়বে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের!


১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট। ক্রীড়াবিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় খেলাটিকে ২০২৮ এর লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে নতুন পাঁচটি ইভেন্টের একটি হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। ২০২৩ সালে মুম্বাইয়ে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ক্রিকেটকে অন্তর্ভূক্ত করার অনুমোদন দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ঠিক কোন মাপকাঠির ভিত্তিতে এবং কয়টি দলকে সুযোগ দেয়া হবে তা নিশ্চিত করা হয়নি তখন।
অলিম্পিকে ক্রিকেট ফিরছে। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের ক্রিকেট দেখা যাবে আগামী অলিম্পিকে। বুধবার অফিসিয়াল প্রোগ্রামের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে ছেলে ও মেয়ে উভয় বিভাগের ক্রিকেট ইভেন্টে ৬টি করে দল সুযোগ পাবে। ১৫ সদস্য নিয়ে প্রতিটি দলকে স্কোয়াড তৈরি করতে হবে। উভয় বিভাগে সব মিলিয়ে ৯০ জন করে অ্যাথলেট ক্রিকেট ইভেন্টে খেলবেন।
তবে অলিম্পিকের জন্য ঠিক কীভাবে দলগুলো বাছাই করা হবে তা এখনও পরিষ্কার করা হয়নি। স্বাগতিক হিসেবে আমেরিকার সরাসরিই এই ইভেন্টে অংশ নেয়ার কথা। সে হিসেবে স্লট ফাঁকা থাকে মাত্র ৫টি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ক্রিকেট খেলে প্রায় শতাধিক দেশ। এদের মধ্য থেকে কীভাবে দল বেছে নেয়া হবে তা স্পষ্ট নয়।
প্রশ্ন আছে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশগুলো নিয়েও। অলিম্পিকে এই অঞ্চলের দেশগুলো আলাদাভাবেই বিভিন্ন ইভেন্টে অংশ নিয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে কারা ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের প্রতিনিধিত্ব করবে সেটা একটা প্রশ্ন বটে। এ ক্ষেত্রে অবশ্য দৃষ্টান্ত হিসেবে কমনওয়েলথ গেমসের নীতি অনুসরণ করে সমস্যার সমাধান করা যায়। ২০২২ সালে বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসে মেয়েদের ক্রিকেট অন্তর্ভূক্ত করা হলে ক্যারিবিয়ান অঞ্চল থেকে বার্বাডোস অংশ নিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক প্রতিযোগিতা টোয়েন্টি-২০ ব্লাজ জিতে সুযোগ পেয়েছিল তারা।
ক্রিকেটকে যখন লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের অন্তর্ভূক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় আইসিসি ছয় দল নিয়ে আয়োজন করার সুপারিশ করে। এ ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংকে মাপকাঠি হিসেবে ধরার পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এ বছরেই জানা যাবে।
তবে র্যাঙ্কিংকে মাপকাঠি হিসেবে ধরলে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে কপাল পুড়তে পারে বাংলাদেশের। ছেলে ও মেয়ে উভয় বিভাগেই টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ আছে নয় নম্বরে। কপাল পুড়বে ইন্দিয়া বাদে এশিয়ার বাকি পরাশক্তিদেরও। ছেলে ও মেয়ে উভয় বিভাগের র্যাঙ্কিংয়েই বাংলাদেশের মতোই সেরা ছয়ের বাইরে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তান। সে ক্ষেত্রে এশিয়া থেকি ইন্ডিয়া সুযোগ পাবে অলিম্পিকের ক্রিকেটে।
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত মাত্র একবারই অলিম্পিকে ক্রিকেট ইভেন্ট হিসেবে জায়গা পেয়েছিল। ১৯০০ সালের প্যারিস অলিম্পিকে লাল বলের এই ম্যাচে ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের প্রতিনিধিত্বকারী দুটি দল অংশ নেয়। ম্যাচটিতে ১৫৮ রানে জয় পায় ব্রিটেনের প্রতিনিধিরা।