এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে আ.লীগের কার্যালয় দখলের অভিযোগ


চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতার বিরুদ্ধে। নিউ মার্কেট এলাকার দোস্ত বিল্ডিংয়ে অবস্থিত কার্যালয়টি দখলের এ অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে এনসিপির শতাধিক কর্মী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় এনসিপির চট্টগ্রাম নগর কমিটির যুগ্ম সমন্বয়কারী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক আহ্বায়ক আরিফ মঈনুদ্দিনের নেতৃত্বে সাবেক সমন্বয়ক ও দলীয় কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ফেসবুকে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় দখলে নেওয়ার একটি ভিডিও এবং অনেক ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, একদল তরুণ কার্যালয়ের সামনের দেয়ালে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করছে। এতে আরিফ মঈনুদ্দিনসহ এনপিসি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের দেখা গেছে।
এনসিপির চট্টগ্রাম নগরের যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, ভবনটি পরিত্যক্ত সম্পত্তি। এটিতে রাতে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম চালাতেন নেতাকর্মীরা। এ খবর পাওয়ার পর আমরা সেখানে যাই। নিরাপত্তাপ্রহরীকে রাতে কারা আসেন জিজ্ঞাসা করলে তিনি কেউ আসে না বলে জানান। এরপর তালা ভেঙে কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকি। সেখানে বিভিন্ন প্রমাণ দেখতে পাই। এ কারণে কার্যালয়টি তালা দিয়ে রাখা হয়েছে। আগামী দুই দিন ভবনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।
আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের অফিস সহকারী আবদুল মালেক বলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে কোনো নেতাকর্মী আসেননি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এনসিপির শতাধিক কর্মী এসে আওয়ামী লীগের কার্যালয়টি দখল করেন। অফিসে থাকা বঙ্গবন্ধুর ছবি ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। রাত পৌনে ৮টা পর্যন্ত তারা কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন।
নগরের কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের কোনো অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
নগরের ঐতিহ্যবাহী দোস্ত বিল্ডিং-এর চতুর্থ তলা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগসহ সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। এ ভবনে আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিএনপি, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কার্যালয় রয়েছে। বহু আন্দোলন-সংগ্রামের সূতিকাগার এই দোস্ত বিল্ডিং।
গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের এই কার্যালয়ে এক দফা ভাঙচুর করা হয়েছিল। তারপর থেকে কার্যালয়টি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।