নাহিদের বক্তব্যের জবাব দিলো জামায়াত

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৪ পিএম
নাহিদের বক্তব্যের জবাব দিলো জামায়াত
ছবি : সংগৃহীত

পিআর বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের দাবিতে আন্দোলন বিষয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের সমালোচনার জবাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

রবিবার (১৯ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের প্রধান এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম দাবি আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির সমালোচনা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর।

তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর পিআর দাবির আন্দোলনকে প্রতারণামূলক ও রাজনৈতিক কৌশল বলে যে মন্তব্য করেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা ও দুঃখজনক। তিনি তার বক্তব্যের মাধ্যমে কী বুঝাতে চাচ্ছেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়। তার কাছে এই ধরনের বালখিল্য বক্তব্য জাতি আশা করে না।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেওয়ার দাবিতে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় এবং রাজপথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার দৃঢ় অবস্থান জনগণের সামনে তুলে ধরেছে। কাজেই জনাব নাহিদ ইসলামের বক্তব্যের যৌক্তিক কোনো ভিত্তি নেই। আমি জনাব নাহিদ ইসলামকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
  
এর আগে রোববার বিকেলে এক ফেসবুক পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, জামায়াতে ইসলামী যে কথিত অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) আন্দোলন শুরু করেছিল, সেটা ছিল এক রাজনৈতিক প্রতারণা। পোস্টে তিনি আরও লিখেন, এর উদ্দেশ্য ছিল সংবিধান সংস্কার ও রাষ্ট্র পুনর্গঠনের মূল আলোচনাকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়া, যাতে জনগণের আন্দোলনের পর গঠিত ঐকমত্য কমিশনের সংস্কার প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
 
নাহিদ উল্লেখ করেন, মূল দাবি ছিল-একটি উচ্চকক্ষ গঠন করা, যেখানে জনগণের ভোট অনুযায়ী দলগুলোর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। একে সংবিধানে জনগণের ক্ষমতা রক্ষার একটি উপায় হিসেবে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু জামায়াত ও তাদের সহযোগীরা এই বিষয়টি নিজেদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করেছে। তারা আসল সংস্কারের পরিবর্তে এটিকে শুধু একটি কৌশলগত বা রাজনৈতিক দরকষাকষির বিষয় বানিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেন এনসিপির এই নেতা।
 
নাহিদ বলেন, জামায়াত কখনোই প্রকৃত সংস্কার বা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার আলোচনায় অংশ নেয়নি—না জুলাই আন্দোলনের আগে, না পরে। তাদের ‘সংস্কার’ সমর্থন ছিল কেবল রাজনৈতিক কৌশল ও বিভ্রান্তির অংশ। বাংলাদেশের মানুষ এই ছলচাতুরি বুঝে ফেলেছে এবং তারা জানে কে আসল সংস্কারবাদী আর কে সুযোগসন্ধানী। তাই সাধারণ মানুষ ভবিষ্যতে আর দেশকে অসৎ ও স্বার্থপর রাজনীতিকদের হাতে তুলে দেবে না বলেও জানান নাহিদ ইসলাম।