মির্জা ফখরুলসহ ২২ জনকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলা থেকে অব্যাহতি


২০২৩ সালে পল্টন মডেল থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা এক মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ২২ জনকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশের দেওয়ার চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে রবিবার (৫ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ সাব্বির ফয়েজের আদালত এ আদেশ দেন।
মির্জা ফখরুলের আইনজীবী জাকির হোসেন এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সম্প্রতি এই মামলায় ২২ জনের নামে পুলিশের দেওয়ায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন বিচারক আমলে গ্রহণ করে তাদের অব্যাহতির আদেশ দেন।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আহ্বায়ক আ. সালাম, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি নজরুল ইসলাম নয়ন, খন্দকার এনামুল হক, শরীফ উদ্দিন জুয়েল প্রমুখ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ও আশপাশের এলাকায় থেকে মহা-সমাবেশ উপলক্ষে দেড় লাখের বেশি লোক সমবেত হয়। এছাড়াও বিজয় নগর পানির ট্যাংকির সামনে রাস্তায় গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরাও অবস্থান নিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন উসকানিমূলক বক্তব্য ও স্লোগান দিতে থাকেন। এই উসকানিমূলক বক্তব্যে প্ররোচিত ও উৎসাহিত হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সমাবেশ চলাকালে পুলিশকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন রকম উসকানী দিতে থাকেন। এ সময় তাদের কোনও ধরণের উসকানীমূলক বক্তব্য দিতে না করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশে অংশগ্রহণের কথা জানানো হয়। পরে অজ্ঞাত বিএনপি ও এর অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ নির্দেশনা ও মদদে ওই দিন পুলিশের ওপর ইট-পাটকে নিক্ষেপসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় এবং একইভাবে গণপরিষদের নেতাকর্মীরাও পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে অগ্নি সংযোগ করে ভীতি সৃষ্টি করা হয়। ওই ঘটনায় দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারি পল্লবী জোনাল টিম ডিবি-মিরপুর বিভাগের উপ-পরিদর্শক মো. রুহুল আমিন মোর্শেদ তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত রিপোর্ট দাখিল করেন।