বাংলাদেশে আরেকটি বিপ্লব লাগবে: সাদিক কায়েম


আমাদের আরেকটি অনিবার্য বিপ্লব লাগবে। সেই বিপ্লব হবে ইনসাফের বিপ্লব বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক সাদিক কায়েম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, অখণ্ডতার প্রশ্নে, জুলাইয়ের শহীদদের আকাঙ্ক্ষার প্রশ্নে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ৩৬ জুলাই (৫ আগস্ট) গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফতেহ গণভবনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘জুলাই জাগরণ নব উদ্যমে বিনির্মাণ’ শীর্ষক র্যালি শেষে শাহবাগে সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি।
র্যালিটি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রদক্ষিণ করে শাহবাগে এসে শেষ হয়।
সাদিক কায়েম বলেন, স্বাধীনতার এক বছরেও আমরা দেখতে পাচ্ছি ফ্যাসিবাদী উপাদানগুলো এখনও রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি প্রতিষ্ঠানে থেকে গেছে। যে পুলিশ আমাদের ভাই-বোনকে হেলিকাপ্টার থেকে গুলি করেছে, আমাদের দুই হাজার ভাই-বোনদের শহীদ করেছে, হাজার ভাই-বোনদের আহত করেছে—এখন পর্যন্ত সেই পুলিশ সংস্কার হয় নাই। এখন পর্যন্ত মিডিয়া সংস্কার হয়নি। যেসব ছাত্র উপদেষ্টা বানিয়েছি তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনা যায়। তাদের ইতিহাস বিকৃতির ঘটনা আমরা দেখতে পাচ্ছি। আপনারা যদি জুলাইয়ের ইতিহাস বিকৃত করেন, তাহলে ফ্যাসিস্ট হাসিনার যে পরিণতি হয়েছিল, তার চেয়ে খারাপ পরিণতি হবে আপনাদের।
তিনি বলেন, আমরা যাদের সরকারে বসিয়েছি শহীদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে তারা জুলাইয়ে চেতনাকে ধারণ না করে ফ্যাসিবাদী ভাষায় কথা বলছে। এক বছরে তারা এখন পর্যন্ত শহীদদের তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি। এখনও পর্যন্ত আমাদের গাজী ভাইরা চিকিৎসা পাচ্ছে না, টাকার অভাবে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। তাদের লাল ফিতার দৌড়ত্ব দেখানো হচ্ছে।
এর আগে সকাল ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু করে গণভবন পর্যন্ত ৩৬ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণভবন বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গণভবন অভিমুখে ‘ফতেহ গণভবন সাইকেল র্যালি’ কর্মসূচি পালন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
র্যালিতে ঢাবি শিবিরের সাবেক সভাপতি সাদিক কায়েম, সাবেক প্রচার সম্পাদক আসিফ আব্দুল্লাহ, হোসাইন আহমাদ জোবায়ের, বর্তমান সভাপতি এসএম ফরহাদ, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আশিকুর রহমান ও প্রচার সম্পাদক মেফতাহুল মারুফসহ অন্যান্য নেতারা অংশ নেন। এছাড়া কর্মসূচিতে ঢাবির অন্তত ৫০০ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।