সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানাল জামায়াত


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ড. এ এইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, আমরা ভোটে পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) পদ্ধতি চাই। ঐক্যমত কমিশনেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা এটার দাবি জানিয়েছি। পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে সুষ্ঠু ভোট হয় না, তা অতীতে দেখেছি। পিআর পদ্ধতিতে নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ হয়। আমরা এক শতাংশ ভোটের হারে আসন বণ্টনের কথা বলেছি। এক কোটি ১০ লাখ মানুষ বিদেশে। ভোট দিতে পারে না।
বুধবার (২৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন তিনি।
হামিদুর রহমান আযাদের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল সিইসির সঙ্গে বৈঠক করে। প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন: সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, জামায়াত নেতা ও বাংলাদেশ ল ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার।
হামিদুর রহমান বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা ইসি পুনর্গঠন চাইনি। যেহেতু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পর নির্বাচন কমিশন গঠন হয়েছে, সেহেতু এই কমিশনের আস্থার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। তারা এখনও প্র্যাকটিক্যালি কাজ শুরু করেনি। অতীতের মতো দলীয় সরকারের অধীনে তো এই কমিশনের নিয়োগ হয়নি, এই সরকারের আমলেই নিয়োগ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করার জন্য বলেছি। নির্বাচনকালীন একটি তত্ত্বাবধায়ক, অন্তর্বর্তী সরকার যেটিই হোক, সেটা হবে। এর অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে ভালো হবে। দলীয়ভাবে ভোট হলে দলের সরকার তার প্রার্থী জয়ী করে নেয়। তাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। আমরা জাতীয় নির্বচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন চাই।’
এই জামায়াত নেতা বলেন, ‘নিবন্ধন ও প্রতীকের গেজেট প্রকাশ করে আমাদের দীর্ঘদিনে দাবি বাস্তবায়ন করেছে ইসি। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় বেআইনিভাবে নিবন্ধন বাতিল ও প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছিল। চরম অন্যায় করেছিল। কমিশন গেজেট করায় যে প্রত্যাশায় গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, তার পূরণ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভোটে পিআর (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি) পদ্ধতি চাই। ঐক্যমত কমিশনেও এ নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা এটার দাবি জানিয়েছি। পরিবেশ সুষ্ঠু না হলে সুষ্ঠু ভোট হয় না, তা অতীতে দেখেছি। পিআর পদ্ধতিতে নমিনেশন বাণিজ্য বন্ধ হয়। আমরা এক শতাংশ ভোটের হারে আসন বণ্টনের কথা বলেছি। এক কোটি ১০ লাখ মানুষ বিদেশে। ভোট দিতে পারে না। প্রবাসীরা যেভাবে বাংলাদেশকে বিদেশে উপস্থাপন করেন, রেমিট্যান্স পাঠায় তার চেয়ে বড় কথা তাদের ভোটাধিকার গুরুত্বপূর্ণ। কমিশন বলেছে প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিয়ে উদ্যোগ নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কার হবে তা যেন কাগজে না হয়। নতুন বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে। আশ করি আগামীতে সুষ্ঠু ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যশা পূরণ হবে। যে দাবিগুলোর কথা বললাম তা ইসি রিলেটেড। ঐকমত্য কমিশনের পাশাপাশি ইসিকেও জানালাম।’