সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৯ জুন ২০২৫, ১১:৩৯ পিএম
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অনেক দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংসদে আসন নির্ণয় চাইলেও আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।

ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৃহস্পতিবারের (১৯ জুন) আলোচনা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বেমানান। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’

সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অনেক ফেডারেল রাষ্ট্রে এ পদ্ধতির নির্বাচন আছে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো ফেডারেল রাষ্ট্র না, এটি রিপাবলিক রাষ্ট্র। বেশ কিছু রিপাবলিক রাষ্ট্রে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন থাকলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে এ পদ্ধতি একেবারেই বেখাপ্পা।’

‘সংসদে আইন পাশ করতে গেলে কিংবা সংবিধান সংশোধন করতে গেলে দুই তৃতীয়াংশের ভোট দরকার হবে। এ পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’ যোগ করেন সালাহউদ্দিন।

বৃহস্পতিবারের আলোচনায় বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের দাবি ছিল—কোনো ব্যক্তিকে না বরং দলকে ভোট দেবে জনগণ। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে ৩০০ আসনের বিচারে তার তিনগুণ আসন নিয়ে সংসদে বসবে তারা। অর্থাৎ কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পেলে সংসদীয় আসন হবে ৩০টি।

এর বাইরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটে ভোট পদ্ধতির সমর্থন জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু চারটি বিষয় বাদে (আস্থা ভোট, অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধন, জাতীয় নিরাপত্তা) বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন ভোটদানের সিদ্ধান্তে আমরা একমত হয়েছি, তাই গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আজকে কেবল এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে, কোনো মীমাংসা হয়নি। একনায়কতন্ত্র রুখতে এবং স্বৈরাচারকে প্রশ্রয় না দিতে পরপর দুইবার কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে পরের মেয়াদে আর প্রধানমন্ত্রী হবে না- এ সিদ্ধান্তে আমরা একমত। তবে পরের মেয়াদ বাদ দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’

রবিবার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে কমিশন। আলোচ্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে মতবিনিময় হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।