মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের


জাতীয় নির্বাচনের পর প্রাসঙ্গিকতা হারানোর আশঙ্কায় মঙ্গলবারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার(১৮ জুন) ঢাকা মহানগর বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা উত্তর বিএনপির তুরাগ ইউনিটের নতুন সদস্যপদ ফর্ম বিতরণ এবং সদস্যপদ নবায়ন অভিযান শুরু করার জন্য সানবিমস স্কুল প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই বৈঠকের ফলাফলে খুশি নন, কারণ নির্বাচন তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন শেষে জনগণের সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসবে।
জামায়াতের প্রতি তির্যক ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দল কতটা প্রভাব বজায় রাখবে তা নিয়ে দল উদ্বিগ্ন। ফখরুল বলেন, ‘এ কারণেই তারা হতাশ এবং গতকাল (মঙ্গলবার) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি।’
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকের ফলাফলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জামায়াত যোগ দেয়নি।
১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাৎ এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হওয়ার পর দলটি কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি বলে জানা গেছে।
ফখরুল বলেন, যখন আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি উপযুক্ত না হওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক চলছিল এবং বিভাজন দেখা দিচ্ছিল, তখন তারেক রহমান ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন।
তিনি এই বৈঠককে একটি বিরল এবং ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন, কারণ এটি একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ প্রশস্ত করে।
বৈঠকে ফখরুল বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক উভয়ই নির্বাচনের তফসিল সম্পর্কে তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে রমজানের এক সপ্তাহ আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একেই আমরা রাষ্ট্রনায়কত্ব বলি। বিভাজন বা সংঘাতকে উসকে না দিয়ে, এই দুই নেতা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করেছেন।’