ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আজ যোগ দিয়েছে জামায়াত

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৮ জুন ২০২৫, ১২:৩২ পিএম
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে আজ যোগ দিয়েছে জামায়াত

জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম দিনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী অংশ না নিলেও আজ (বুধবার) অংশ নিয়েছেন দলটির প্রতিনিধি।

বুধবার (১৮ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক শুরু হয়েছে।

গতকাল (মঙ্গলবার) ঐকমত্য কমিশনের প্রথম দিনের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামী অংশ না নিলেও আজ তাদের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। তারা হলেন— দলটির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ও সহকারী সেক্রেটারি এএইচএম হামিদুর রহমান আজাদ।

গতকালের বৈঠকে কেন অংশ নেননি জানতে চাইলে রফিকুল ইসলাম খান বলেন, কারণটা পরে বলব, এখন নয়।

আজকের বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে, আগের অসমাপ্ত আলোচনা সমাপ্তিকরণ, জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) ও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আগামীকাল ১৯ জুনও আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।

আজকের বৈঠকে বিএনপিসহ এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে।

এর আগে, মঙ্গলবার কমিশনের বৈঠকে জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি না থাকায় বিষয়টি আলোচনার জন্ম দেয়। অনেকে বলেন, কমিশনের বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াতের বনিবনা না হওয়ায় মঙ্গলবারের আলোচনায় তারা যোগ দেননি।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘কেন জামায়াত আলোচনায় যোগ দেয়নি সেই উত্তর কমিশনই ভালো দিতে পারবে।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, ‘আমরা যতদূর জানি জামায়াত আজকের বৈঠক প্রতীকী বয়কট করেছে। ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচ্য বেশ কয়েকটি বিষয়ে জামায়াত হয়তো একমত হতে পারেনি। তাই আলোচনায় অংশ নেয়নি।’

জামায়াতের আলোচনায় যোগ না দেওয়া প্রসঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল হিসেবে আজকের আলোচনায় জামায়াতের থাকা উচিত ছিল। তারা এই আলোচনা বয়কট করেছে কিনা সে বিষয়ে পরিষ্কার কিছু জানায়নি। যদি মধ্যাহ্নভোজের পরেও জামায়াত আলোচনায় না আসে তাহলে পুরো ব্যাপারটি বোঝা যাবে।’

ইসলামী আন্দোলনের এই নেতা বলেন, ‘আদর্শিক জায়গা থেকে আমরা বেশিরভাগ বিষয়েই একমত হয়েছি। কিন্তু নারীদের জন্য আলাদা করে সংরক্ষিত ১০০ আসন রাখার প্রয়োজন দেখি না। নারীর ক্ষমতায়ন আমরাও চাই, কিন্তু কোনো বৈষম্যমূলক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে না।’

বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল মনে করছে, নারী আসনসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে কমিশনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় আলোচনার প্রথম পর্যায়ে জামায়াত যোগ দেয়নি।