মার্চ ফর ইউনিটি: জনসমুদ্রে ও স্লোগানে মুখরিত শহীদ মিনার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’তে যোগ দিতে সকাল থেকেই শহীদ মিনারে দলে দলে উপস্থিত হয়েছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার বিপ্লবী ছাত্র-জনতা।
এখনো বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে বিপ্লবীরা। রংপুর, পটুয়াখালী চট্টগ্রাম, নাটোর, পঞ্চগড়, সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ছাত্র-জনতাও সকাল থেকে শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন।
এদিকে 'দিল্লী না ঢাকা', 'সংগ্রাম সংগ্রাম', ‘রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’ অ্যাকশন অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন, 'খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই' স্লোগানে মুখরিত হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন 'আমাদের সংগ্রাম শেষ হয়নি। শহীদদের রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। এর মধ্যে স্বৈরাচারকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন কেউ কেউ। যখনই আমরা দেশকে একেবারে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে চাই, তখনই সুশীল বেশে কিছু ব্যক্তি ও দল বিরোধিতায় নেমে যায়। আমরা প্রয়োজনে তাদেরও প্রতিহত করব।'
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও শহীদ মিনার এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করেন তারা। বিকাল ৩টার দিকে এ চিত্র দেখা যায়। ঢাকা মেডিক্যাল প্রাঙ্গণে থেকেও স্লোগান দিতে দিতে বিপ্লবীদের মিছিল নিয়ে যেতে দেখা যায়।
এদিকে স্বেচ্ছাসেবীরা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করছেন। তবে অনেককে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এছাড়া সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আজ শহীদ মিনারে জুলাই অভ্যাত্থানের ঘোষণাপত্র পাঠ করার কথা ছিল। কিন্তু গতরাতে অন্তর্বর্তী সরকার এ ঘোষণাপত্র পাঠ করবে জানালে কর্মসূচি বাতিল হবে কিনা তা নিয়ে বিভ্রান্তি শুরু হয়।
এরপর সোমবার দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে নিজেদের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে বলা হয়, ৩১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালন করা হবে।