অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন দপ্তরে দুদকের অভিযান

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন দপ্তরে দুদকের অভিযান

অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)-এ নিয়োগ, পদোন্নতিতে অনিয়মের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে বিসিক-এর বিভিন্ন পদের নিয়োগ সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করা হয়। এছাড়া বিসিক-এর লবণ সেলে প্রকল্পের আয়-ব্যয় ও পদোন্নতিসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম।

সার্বিক পর্যালোচনায় ২০১৯ সালে ৬ষ্ঠ গ্রেডের বিভিন্ন পদে নিয়োগে অনিয়মের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযানকালে সংগৃহীত রেকর্ডপত্র বিস্তারিতভাবে যাচাইপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের নগর ভবনের সংস্কার কাজের অনিয়মের অভিযোগের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আনুমানিক ২১ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ৪৯ টাকার প্রাক্কলন করা হয়। মোট ১২টি রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন (আরএফকিউ)-এর মাধ্যমে এ কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দুদক টিমকে অবগত করেন। কিন্তু অভিযান পরিচালনাকারী টিমকে সাতটি কাজের ঠিকাদারের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেনি সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। অধিকন্তু, একজন ঠিকাদারের নম্বরে ফোন করে দুদক জানতে পারে, তিনি কোনো ঠিকাদারই নন। সার্বিক পর্যালোচনায় পিপিএ/পিপিআর যথাযথভাবে অনুসরণ করে সংস্কার কাজগুলো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলে টিমের কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।

এ ছাড়া জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট গড়ে তুলে প্লট-ফ্ল্যাট দখল, প্রকল্পে অনিয়ম-দুর্নীতি এবং কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। এনফোর্সমেন্ট টিম জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকে তাদের অধিক্ষেত্রের মোট জমির পরিমাণ, বর্তমান অবস্থা এবং অবৈধ দখল সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করে। এছাড়া কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়ানাধীন আবাসন প্রকল্প, বরাদ্দ ও বিক্রয় বিষয়ক রেকর্ডপত্র এবং অন্যান্য তথ্যাদি যাচাই করা হয়। প্রাথমিকভাবে কয়েকশ’ একর জমি বেদখল/অবৈধ দখলে আছে বলে টিমের কাছে প্রতীয়মান হয়। প্লট, ফ্ল্যাট বরাদ্দের বিষয়ে বেশ কিছু অসঙ্গতিও দুদক টিমের নিকট পরিলক্ষিত হয়েছে। এছাড়া প্রকল্প বিষয়ক নথি যাচাইয়েও অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ পায় দুদক টিম।

চুয়াডাঙ্গায় সারের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কৃষকদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে মাঠ পর্যায়ে কৃষক সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার কিনেছেন বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়।

অভিযানকালে কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের বক্তব্য গ্রহণ করে দুদক টিম। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র এবং বক্তব্য পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে।