অক্টোবরে ২০৭ কোটি টাকার বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৩ এএম
অক্টোবরে ২০৭ কোটি টাকার বিভিন্ন চোরাচালান পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে বিজিবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানিয়েছে, দেশের সীমান্তজুড়ে চলা অভিযানে গত অক্টোবর মাসে মোট ২০৬ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন ধরনের চোরাচালান পণ্য জব্দ করা হয়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, জব্দকৃত চোরাচালান পণ্যের মধ্যে রয়েছে ৩ কেজি ২৬২.৭৬ গ্রাম সোনা, ১১ কেজি ৪১০ গ্রাম রূপা, ৩৩ হাজার ৯১০টি শাড়ি, ১৯ হাজার ৫৮০টি থ্রিপিস/শার্টপিস/চাদর/কম্বল, ১৬ হাজার ৯৯১টি তৈরি পোশাক, ৫৬৯ মিটার থান কাপড়, ১ লাখ ৭১ হাজার ৯৪৬টি কসমেটিকস সামগ্রী, ৬ হাজার ২২৭ পিস ইমিটেশন গহনা, ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৫২৬টি আতশবাজি, ৬ হাজার ৫২ ঘনফুট কাঠ, ৪ হাজার ৫৮৯ কেজি চা পাতা, ১০ হাজার ৩৯২ কেজি সুপারি, ৩১ হাজার ৬৫১ কেজি কয়লা, ৫৩৫ ঘনফুট পাথর, ৩৭ হাজার ৩৫৫ কেজি সুতা/কারেন্ট/দুয়ারি জাল, ২৫১টি মোবাইল, ৩১ হাজার ৬৭৮টি মোবাইল ডিসপ্লে, ৪৮ হাজার ২৮৬টি চশমা।

এছাড়াও রয়েছে ৪০ হাজার ৮২৬ কেজি জিরা, ৯ হাজার ৯১৪ কেজি চিনি, ২৬ হাজার ৪৫৮ কেজি পেঁয়াজ, ৬০১ কেজি রসুন, ৫ হাজার ৩৭৮ প্যাকেট বিভিন্ন প্রকার বীজ, ৭ হাজার ৬৯০ কেজি সার, ৫ হাজার ০২৪ প্যাকেট কীটনাশক, ৩,০০২ লিটার ডিজেল, ১ লাখ ৯ হাজার ৭৩২ পিস চকোলেট, ১,৫০০টি গরু/মহিষ, ১০টি ট্রাক/কাভার্ডভ্যান, ২১টি পিকআপ/মাহেন্দ্র, ২টি ট্রাক্টর, ৪টি প্রাইভেটকার/মাইক্রোবাস, ৯টি ট্রলি, ১৯৭টি নৌকা, ৩২টি সিএনজি/ইজিবাইক, ৪৯টি মোটরসাইকেল এবং ৩০টি বাইসাইকেল/ভ্যান।

একই সময়ে উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে—৪টি দেশি/দেশীয় পিস্তল, ১টি রিভলবার, ৩টি মর্টার সেল, ৬টি হ্যান্ড গ্রেনেড, ৩টি ম্যাগাজিন, ৫৩ রাউন্ড গোলাবারুদ, ২৫০ গ্রাম বিস্ফোরক, ২টি ডেটোনেটর এবং ৭টি অন্যান্য অস্ত্র।

এছাড়াও অক্টোবরে বিজিবি বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। জব্দ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে—১৩ লাখ ৮২ হাজার ৪৬২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ কেজি ২০৫ গ্রাম হেরোইন, ৫ হাজার ৪৬৫ বোতল ফেনসিডিল, ১০ হাজার ৫৮২ বোতল বিদেশি মদ, ২৫১.৫ লিটার বাংলা মদ, ১ হাজার ২৬৭টি ক্যান বিয়ার, ১,৭৮২ কেজি ২৪০ গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার ৩০ হাজার ৭৫৯ প্যাকেট বিড়ি ও সিগারেট, ৫৫ হাজার ৯১৭টি নেশাজাতীয় ট্যাবলেট/ইনজেকশন, ৪,০৮২ বোতল ইস্কাফ সিরাপ, ৬ হাজার ৩০৯টি অ্যানেগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট, ১৩০ কেজি ইয়াবা পাউডার এবং ৭ লাখ ২৭ হাজার ৭৬৮ পিস বিভিন্ন প্রকার ওষুধ ও অন্যান্য ট্যাবলেট।