১২ ঘণ্টা পরও স্বাভাবিক হয়নি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২:২৬ এএম
১২ ঘণ্টা পরও স্বাভাবিক হয়নি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যান চলাচল

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশে ১২ ঘণ্টা পরও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। সকাল থেকে শুরু হওয়া থেমে থেমে যানজটে দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা।

রোববার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে মহাসড়কে যানজটের সূত্রপাত হয়। দুপুরের পর তা আরও বাড়তে বাড়তে কাচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত প্রায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার দিকে পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হলেও যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি।

তবে রাত সোয়া ১০টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিশ্বরোড থেকে রূপসী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার সড়কে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

হাইওয়ে পুলিশ ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ও গর্ত দিয়ে যানবাহন চলাচলে ধীরগতির কারণে সকালে থেকে থেমে থেমে যানজট দেখা দেয়। দুপুরের পরে সড়কে যানবাহনের চাপ বাড়লে যানজট বিস্তৃত হয়। ২টার দিকে যানজট বেড়ে কাচপুর থেকে মৈকুলি পর্যন্ত ছয় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হয়। সন্ধ্যার পরে যানজট পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তারাবো বিশ্বরোড থেকে রূপসী পর্যন্ত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র যানজট পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে মহাসড়কের উভয়দিকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন লেগে রয়েছে। ফলে ১১ ঘণ্টার যানজটে নাকাল যাত্রী সাধারণ ও পরিবহন শ্রমিকরা।

যানবাহনের দীর্ঘ সারিতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের। এতে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার যানবাহনের হাজারো মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে।

যাত্রী জাহাঙ্গীর মোল্লা বলেন, ‌‘সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে যানজট। সকালে বিশেষ কাজে বরপা থেকে যানজট ঠেলে নারায়ণগঞ্জ শহরে গিয়েছিলাম। কাজ সেরে বাড়ি ফিরছি। এখন বাজে রাত ১০টা, এখনো দেখছি সেই যানজট।’

লেগুনাচালক বিল্লাল মিয়া বলেন, ‘টাকা-সিলেট মহাসড়কের রূপগঞ্জ অংশের এই যানজট আমাদের বিষফোড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাসড়কের তারাবো বিশ্বরোড, বরাবো, রূপসী, মৈকুলি এলাকায় থেমে থেমে প্রতিদিনই যানজট লাগছে। যানজটে ট্রিপ কমছে, সেইসঙ্গ আয়-রোজগারও কমছে।’

নরসিংদীগ্রামী যাত্রী আবু কাওসার বলেন, ‘পাঁচ মিনিটের পথ তারাবো বিশ্বরোড থেকে বরপা ৪০ মিনিটে এসেছি। রাতের যাত্রায় যানজট বিড়ম্বনায় ফেলে দিলো।’

শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন বলেন, খানাখন্দের কারণে তারাবো বিশ্বরোড থেকে বরাবো পর্যন্ত রাস্তায় যানবাহন স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করতে পারে না। এতে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে মহাসড়কের যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আশা করছি, দ্রুততম সময়ের মধ্যে যানজট পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।