ভারতীয় জেলেদের ইলিশ ধরার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: মৎস্য উপদেষ্টা


পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে জেলেরা এসে বঙ্গোপসাগর যখন ফাঁকা থাকে তখন ইলিশ মাছ ধরে নিয়ে যায় বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।
তিনি বলেছেন, ‘সাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা ইলিশ মাছ ধরতে আসে, বিষয়টি জানার পরপরই কোস্টগার্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এবং ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
বুধবার (২২ অক্টোবর) দুপুরের সাভারের প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বিএলআরআইএ) বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা চাই দেশের মানুষ ইলিশ খাবে। সাগরে যেন কেউ চুরি করে মাছ ধরতে না পারে। সেজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে।’
নিষেধাজ্ঞা চলাকালে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইলিশ ধরা ও ইলিশের বাজার বসার খবরের সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি। একাধিক স্থানে জেলেদের হামলার শিকার হতে হয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের। এ ছাড়া সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা সকল জেলের জন্য পর্যাপ্ত চালের ব্যবস্থা করতে পারিনি।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) মহা পরিচালক ড. শাকিলা ফারুক। আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. জাহের, পশুসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
কর্মশালায় বক্তব্যকালে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘গবেষণাকাজে প্রান্তিক মানুষের কথা এবং গ্রামের মহিলাদের কথা ভাবতে হবে। গ্রামীণ মুরগির উৎপাদন বাড়াতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গবাদিপশুর খাদ্যে যারা উপাদান হিসেবে ট্যানারি বর্জ্য ব্যবহার করে, তারা দেশের শত্রু। এসব উপাদানে অত্যাধিক মাত্রায় কেমিক্যাল পাওয়া গেছে যা ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।’
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো. জাহের বলেন, ‘গবেষণাকাজে বাজেট বাড়ানোর জন্য বরাবরই দাবি তোলা হচ্ছে। গবেষণায় সাধারণ মানুষের কী কী উপকারে আসে তা সবার আগে দেখতে হবে। সাধারণ মানুষের কাজ না হলে বাজেট কমাতেই হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিম, মুরগি, গরুর মাংসের দাম বেশি— সর্বদা এ কথা শুনতে হয়। তবে এ কথাও ভাবতে হবে যে আমাদের দেশে খাবারের দাম বেশি।’