সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরির প্রতারণা, চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৬

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:০২ পিএম
সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরির প্রতারণা, চক্রের হোতাসহ গ্রেপ্তার ৬

ঢাকা ও সাভারে অভিযান চালিয়ে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণায় জড়িত চক্রের মূলহোতাসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৪। 

সোমবার (২২ সেপ্টম্বর) রাতে ঢাকা ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- সোহেল রানা ওরফে মিলন, তৈয়ব ওরফে মোস্তাক, সজীব মুন্সি, শামীম আহমেদ, মওলাদ আলী খান ও সোহেল রানা ওরফে জিন্নাহ। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে একটি প্রাইভেটকার, সাতটি মোবাইল ফোন, দুটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং নগদ ৯৫ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তাদের কাছে একজন ভুক্তভোগীকে পাওয়া যায়, যাকে সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়ার নাম করে নিয়ে এসেছিল চক্রটি।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টম্বর) রাজধানীর মিরপুরে র‌্যাব-৪ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর সদর কোম্পানি কমান্ডার শাহাবুদ্দিন কবীর ।

শাহাবুদ্দিন কবীর বলেন, কয়েক দিন আগে সোহেল রানা নামে এক ব্যক্তি আমাদের কাছে অভিযোগ করেন যে, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তার আপন ছোট ভাই গত ১৪ সেপ্টেম্বর সফিপুর আনসার ব্যাটালিয়ন একাডেমিতে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়েন। এসময় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি মোবাইলে ফোনের মাধ্যমে জানায় তার ভাইয়ের কিছু শারীরিক সমস্যা আছে। ভুক্তভোগী তার পরিচয় জানতে চাইলে সে নিজেকে মেজর সোহেল পরিচয় দেয় এবং তার সঙ্গে পরে দেখা করতে বলে। পরে  ভুক্তভোগী ঢাকার শাহ আলী থানা এলাকার একটি হোটেলে সোহেল রানার সঙ্গে দেখা করেন। তখন সোহেল নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর পরিচয় দেয় এবং তার সঙ্গে থাকা তৈয়বুর রহমানকে সেনাবাহিনীর কর্নেল বলে পরিচয় করিয়ে দেয়। সোহেল ভুক্তভোগীর ভাইকে আনসার ব্যাটালিয়ন সিপাহী পদে চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে জানায়, তার সঙ্গে আনসারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগ আছে। ১২ লাখ টাকা দিলে তার ছোট ভাইকে চাকরিতে নিয়োগ নিশ্চিত করতে পারবে।

তিনি বলেন, এই প্রস্তাবে ভুক্তভোগী রাজি হন এবং সে অনুযায়ী ১৫ সেপ্টেম্বর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে চার লাখ টাকা দেন। টাকা পাওয়ার পর মেজর পরিচয়দানকারী সোহেল, কর্নেল পরিচয় দানকারী তৈয়বুর রহমানসহ অন্যান্য আসামিরা ভুক্তভোগীকে তার ভাই রাজুর আনসার ব্যাটালিয়নে যোগদানের নিয়োগপত্র দেয়। নিয়োগপত্রটি দেওয়ার পর বিকাশ ও নগদ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আরো এক লাখ টাকা নেয়। নিয়েগপত্রটি পেয়ে ভুক্তভোগী তার ভাইকে নিয়ে বাড়ি যান। বাড়ি গিয়ে তারা তাদের গ্রামের আনসারের সিপাহী পদে নিয়োগপত্র প্রাপ্ত হয়েছেন এমন একটি ছেলের নিয়োগপত্রের সঙ্গে তাদের নিয়োগপত্রটির অনেক গরমিল দেখেন। পরে ভুক্তভোগী খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, আসামিদের দেওয়া নিয়োগপত্রটি ভুয়া।