সব প্রকল্পের টেন্ডার অনলাইনে হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩১ পিএম
সব প্রকল্পের টেন্ডার অনলাইনে হবে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
ছবি : সংগৃহীত

অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা দূর করতে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে করা হবে জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, আগামী সপ্তাহেই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে এ সংক্রান্ত আইন। এতে গুটিকয়েক মাফিয়া প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য বন্ধ হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।
 
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, অনিয়ম ও অস্বচ্ছতা দূর করতে এখন থেকে সব প্রকল্পের টেন্ডার প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে। এ সংক্রান্ত আইন আগামী সপ্তাহেই গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। এই আইন হলে রেলখাত, জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে গুটিকয়েক মাফিয়া প্রতিষ্ঠানের আধিপত্য বন্ধ হবে।
 
ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কারও প্রভাব দেখে নয়, যোগ্যতা আছে এমন প্রতিষ্ঠানকে মূল্যায়ন করেই কাজ দেয়া হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান ঋণ খেলাপি হলে, আগে কোনো অনিয়মে জড়িত হলে, সেই প্রতিষ্ঠানকে দরপত্রে যোগ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
  
প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার নানা স্তরে স্বচ্ছতা আনার ক্ষেত্রে সরকার নীরব বিপ্লব করে ফেলেছে জানিয়ে পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করেছি। ফলে প্রকল্প পরিচালক হতে কর্মকর্তারা কেউ আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।’
 
এ ছাড়া এখন থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে খাস জমি রেখে কৃষি জমি অধিগ্রহণ করা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন,  সরকারের বহু খাস জমি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। সরকারের উপদেষ্টাদের নিয়ে একটা কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি সারা দেশে কি পরিমাণ সরকারি জমি খাস আছে, তা বের করবে। একইসঙ্গে জমিগুলো দখল হয়েছে কি না, সেসব তথ্য সংগ্রহ করে দুমাসের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
 
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আইন সবার মতামত নিয়ে চূড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, যারা প্রভাবশালী ব্যবসায়ী, তারা তো দেশ থেকে পালিয়েছেন। সুতরাং আইন তৈরিতে কেউ বাধা দেয়ার সাহস পায়নি।
  
তিনি আরও জানান, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে ধীরগতি কেন, তা খতিয়ে দেখতে আগামী সপ্তাহে বৈঠকে বসবে সরকার। এলডিসি উত্তোরণ হলে সহজ শর্তে আর ঋণ পাওয়া যাবে না। তাই ভালো প্রকল্পের জন্য শেষ সুযোগ হিসেবে যতটা পারা যায়, সহজ শর্তে ঋণ নিতে চায় সরকার।