‘নীতিমালার কারণে সৌরবিদ্যুতের দাম ও জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমবে’

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
‘নীতিমালার কারণে সৌরবিদ্যুতের দাম ও জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমবে’
ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ২০২৫’ অনুমোদন হয়েছে। এতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) নবায়নযোগ্য জ্বালানি ভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ কিনতে পারবে এবং বাকি বিদ্যুৎ সরাসরি গ্রাহকের কাছে বিক্রি করা যাবে। এতে করে সৌরবিদ্যুতে বেশ বড় আকারে বিনিয়োগ হবে আর তাতে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর থেকে নির্ভরতা কমবে।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

প্রেস সচিব বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘বেসরকারি অংশগ্রহণে নবায়নযোগ্য জ্বালানি নির্ভর বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা ২০২৫’ অনুমোদন হয়েছে। এটাকে বলা হয়েছে একটা যুগান্তকারী নীতি। বাংলাদেশে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ নীতিমালা ছিল, সেটাকে বিগত সরকার শুধু লুটপাটের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে। এই প্রাইভেট সেক্টর পিপিপি পলিসির কারণে ২০১০ সালে যে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৈরি করা হয়েছিল বিদ্যুৎ খাতে, তার কারণে গত বছর ৬৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়েছে বিদ্যুৎ খাতে। সেই জায়গা থেকে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে এবং মানুষের জন্য বিদ্যুৎ খাতে খরচ কমাতে এই নীতিমালা করা হয়েছে।

শফিকুল আলম বলেন, এই নীতিমালার ফলে এখন যারা বিদ্যুৎ উৎপাদন করবেন যেমন বিপিডিবি আগে পুরোটাই কিনে ফেলতো বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে। এখন ২০ শতাংশ কিনতে পারবে। বাকিটা পছন্দের ক্রেতার কাছে বিক্রি করতে পারবে কোম্পানি। বিক্রির জন্য সরকারের যে সঞ্চালন লাইন আছে এগুলো ব্যবহার করতে পারবে, তার জন্য তাদের একটি চার্জ দিতে হবে। এই চার্জ নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এতে আমরা আশা করছি, সৌরবিদ্যুতে বেশ বড় আকারে বিনিয়োগ হবে। এমন একটা ঘটনা পাকিস্তানে ঘটেছে, সেখানে সৌরবিদ্যুতে এতো বিনিয়োগ হয়েছে যে সরকারি লাইন থেকে বিদ্যুৎ কিনছে না বরং বেসরকারি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে কিংবা নিজেরাই সোলার প্ল্যান্ট দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে। বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের যে খরচ, এই পলিসির কারণে সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে আসবে। এছাড়া সৌরবিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমবে। এছাড়া এলএনজি নির্ভরতাও কমে আসবে।              

তিনি বলেন, উপদেষ্টা পরিষদের সভায় জানানো হয়েছে, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ করা ৫০টি কাজ পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে, ৩৭টি আংশিক বাস্তবায়ন এবং ২৮০টির মতো প্রক্রিয়াধীন আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এর বাইরে আমাদের মন্ত্রণালয়গুলোতে উপদেষ্টারা যখন দায়িত্ব নেন, তারা তাদের মতো করে অনেক সংস্কার কাজ করেছেন। তাদের কাজের তালিকা অনেক দীর্ঘ। অনেকেই দেখছি, সংস্কার কমিশনের দিকে শুধু তাকিয়ে বলেছেন, কি কাজ হয়েছে, এর বাইরেও প্রচুর কাজ হয়েছে। আমি বলবো, সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশ করেছে তার কয়েকগুণ বেশি কাজ মন্ত্রণালয়গুলো স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে করেছে। সামনের দিনগুলোতে আমরা এগুলো প্রকাশ করবো।