মাদক উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা মাদক পাচারে সম্পৃক্ততায় প্রত্যাহার


চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার চুনতিতে ৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ পুলিশের তিন সোর্স আটক হওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত এসআই কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তাকে লোহাগাড়া থানা থেকে প্রত্যাহার করে চট্টগ্রাম পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। তিনি চলতি বছরের ২২ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ মাদক উদ্ধারকারী অফিসার হিসেবে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতুর কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছিলেন।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত এসআই কামালকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে এবং প্রমাণ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চুনতি বাজার এলাকায় তিনজনকে ফেনসিডিল পাচারের সময় স্থানীয়রা আটক করে। পরে তাদের সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪৮ বোতল ফেনসিডিল ও পাচারে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
আটককৃতরা হলেন—উপজেলার আমিরাবাদ ৭নং ওয়ার্ডের সুখছড়ি এলাকার রমিজ উদ্দিন (৩৫), লোহাগাড়া সদরের হোসেন আলী মাতব্বর বাড়ির নাজিম উদ্দিন (৪৫) এবং মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া থানার তাজুল ইসলাম (৪৯)।
এদের মধ্যে রমিজ উদ্দিনের দাবি, তারা তিনজন পুলিশের সোর্স। এসআই কামাল তাদের জব্দকৃত ফেনসিডিলগুলো দিয়েছেন। এসব ফেনসিডিল পাশের পার্বত্য লামা উপজেলার আজিজ নগরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছিলেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা।