বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগে ‘নতুন সহযোগিতা’ প্রত্যাশা চীন ও কানাডার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১০ জুলাই ২০২৫, ১১:০৮ পিএম
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য-বিনিয়োগে ‘নতুন সহযোগিতা’ প্রত্যাশা চীন ও কানাডার

চীন ও কানাডা বাণিজ্য বৈচিত্র্য ও বিনিয়োগে বাংলাদেশের কাছে ‘ব্যাপক সহযোগিতা’ প্রত্যাশা করেছে। একই সঙ্গে দেশগুলো জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার আশ্বাস দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ ‍জুলাই) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ৩২তম আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামের ফাঁকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠককালে চীন ও কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একথা জানান।

শুক্রবার (১১ জুলাই) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ৩২তম এআরএফ মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠককালে উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার প্রতি আস্থা প্রকাশ করেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ সরকারের সংস্কার উদ্যোগে চীনের পূর্ণ সমর্থনের কথঅ জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া চিকিৎসা পর্যটন এবং পানি ব্যবস্থাপনার মতো অনেক অগ্রাধিকারমূলক ক্ষেত্রে চীনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশে চীনের সাম্প্রতিক বিনিয়োগ সম্মেলনের কথা স্মরণ করে তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে টেক্সটাইল, জ্বালানি, হালকা প্রকৌশল ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে চীনের দেওয়া রাজনৈতিক ও উন্নয়ন সহায়তার জন্য গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি রোহিঙ্গা সংকটের জরুরি ও তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য বাংলাদেশের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং এই বিষয়ে চীনের সমর্থন কামনা করেন।

জাতিসংঘসহ আঞ্চলিক ও বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশকে সমর্থন করার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানান তৌহিদ হোসেন।

পরে বিকালে, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী অনিতা আনন্দের সঙ্গে দেখা করেন। এসময় উভয় পক্ষ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক সম্প্রসারণের সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে বাণিজ্য ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এবং সহনশীলতা তৈরির মাধ্যমে এটি বাড়ানোর বিষয় প্রাধান্য পায়।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘদিনের রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় কানাডার সমর্থন দেওয়ার আশা প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক মো. ফরহাদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।