রাজধানীতে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর ব্যবসায়ীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১২ জুন ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
রাজধানীতে নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর ব্যবসায়ীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার

রাজধানীর সবুজবাগ এলাকায় নিখোঁজের এক সপ্তাহ পর এক ভাঙ্গারী ব্যবসায়ীর খন্ডিত লাশ মাটি খুড়ে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম জাকির হোসেন (৫৫)। তার দুই মেয়ে ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে।

সত্যতা নিশ্চিত করে সবুজবাগ থানার উপপরিদর্শক এসআই শামসুল আমিন বলেন, গত ৪ জুন থেকে ঐ ব্যবসায়ী নিখোঁজ ছিলেন।
তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপহরণ মামলা করেন। সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, তারই পরিচিত আজহার নামে এক ব্যাক্তি তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে আর তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর মহানগর এলাকা থেকে প্রথমে আজহারকে আটক করি। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাসে তিনি স্বীকার করেন যে, তারাই জাকিরকে হত্যা করে জাকিরের বাড়ির পাশে বাইকদিয়া এলাকার একটি জঙ্গলে ফেলে রাখে। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তার ক্ষতবিক্ষত ছয় টুকরা করা দেহ উদ্ধার করা হয়।

তিনি বলেন, জাকিরকে প্রথমে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। সে নিচে পড়ে গেলে, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে শরীর থেকে বিভিন্ন অংশ আলাদা করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা তার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

কি কারণ তাদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল, যার কারণে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের উত্তরে পুলিশের ঐ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি এখনও তদন্তাধীন রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে জানানো যাবে।

সবুজবাগ বাইকদিয়া এলাকায় থাকতেন ব্যাবসায়ী জাকির হোসেন। তার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান নন্দিপাড়া এলাকায়।

নিহতের ছোট ভাই মাসুদ হোসেন জানিয়েছেন, বহুবছর যাবত বাকইদিয়া এলাকায় জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল স্থানীয় ফারুক, মেহের আলীসহ অনেকের সঙ্গে।

অভিযোগ করে ভাই মাসুদ বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের সম্পদ তারা দখল করে রেখেছে। ঐ সব জমিজমা নিয়ে মামলা চলছিল।
ভাই জাকির হোসেন ঐ মামলা পরিচালনা করে আসছিলেন।

তার দাবি, ঐ চক্ররা পরিকল্পিতভাবে ভাড়াটিয়ে লোক দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার দিন, গত ৪ জুন রাতে ভাইয়ের পূর্ব পরিচিত আজাহার, তাকে (ভাই) ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, ভাইয়ের কাছে কয়েক লাখ টাকা ছিল। ভাই, বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর বাসায় ফেরেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আমাদের সন্দেহ হয়, ভাই নিখোঁজের পেছনে স্থানীয়রা জড়িত। পুরো বিষয়টি জানিয়ে আমরা থানায় আজাহার, স্বপন, ইমন, রাজিব, শুক্কুরসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ মামলা করি।

পরে পুলিশ আজাহারকে গ্রেপ্তার করে তার দেখানো মতে ভাইয়ের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করেন।