দুধ শুধু পণ্য নয়, এটি সংস্কৃতির একটি অংশ: মৎস্য উপদেষ্টা


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, প্রাণিসম্পদ খাতে আরও বেশি করে কীভাবে প্রণোদনা দেওয়া যায়, তা সরকার আন্তরিকভাবে বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, দুধ বর্তমানে শুধু একটি পণ্য নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। এজন্য আমাদের মায়েরা বলে থাকেন আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ভাতে।
রবিবার (১ জুন) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে (কেআইবি) বিশ্ব দুগ্ধ দিবস-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, একটি পত্রিকা মারফত জানতে পেরেছি, প্রতি বছর এক লাখ ১৮ হাজার টন গুঁড়ো দুধ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। এই আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে প্রতি বছর ৪০০০ কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। আগামীতে যাতে এই ধরনের দুধ আমদানি করতে না হয় এবং বাংলাদেশে উন্নত মানের দুধ উৎপাদন করা যায়; সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে হবে। এতে একদিকে যেমন বিদেশি আমদানি কমবে তেমনিভাবে দেশের খামারিরা উপকৃত হবেন। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, সরকার কৃষি খাতে যদি ভর্তুকি দিতে পারে, খামারিদের ক্ষেত্রে কেন পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মহিষের দুধের ব্যাপক উৎপাদন হয়। মহিষের দুধ তেমন না চললেও মহিষের দুধের প্রতি কিন্তু মানুষের একটা চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ছাগলের দুধে ঔষধি গুণ রয়েছে। তাই আগামীতে দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বনির্ভরতা অর্জন করবে এমন উদ্যোগ সরকার গ্রহণ করবে।
এর আগে সকালে উপদেষ্টা রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শাখার ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল মিল্ক ফিডিংয়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন এবং দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন। ‘দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি এক সাথে এবারের বিশ্ব দুগ্ধ দিবসের এ প্রতিপাদ্যের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. খালেদা ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. রায়হান হাবিব, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আরিফুল ইসলাম। খামারি প্রতিনিধি, সরকারি-বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্যকে নিরাপদ পুষ্টির অন্যতম উৎস্য হিসেবে সব মহলে জনপ্রিয় করা, সেক্টরের উন্নয়নে জনাকর্ষণ বাড়ানো, বিনিয়োগ আকর্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রচারণার জন্য বাংলাদেশে এই দিবস পালন করা হয়।