বিকেলে শুরু হচ্ছে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০২ জুন ২০২৫, ১২:৪২ পিএম
বিকেলে শুরু হচ্ছে ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ
ছবি : সংগৃহীত

প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের সংলাপ আজ সোমবার শুরু হচ্ছে। বিকেল ৪টায় কমিশন সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠক হবে। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ ৩১ দল এবং জোটের নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। 

নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে সোচ্চার বিএনপির সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হলেও দলটি আজকের সংলাপে অংশ নেবে। জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহামম্মদ তাহেরও সমকালকে জানিয়েছেন, সংলাপে অংশ নেবেন তারা।

গত ১২ ফেব্রুয়ারি ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ছয় মাস মেয়াদি ঐকমত্য কমিশন গঠিত হয়। ১৫ ফেব্রুয়ারি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রথম ধাপের সংলাপের সূচনা করেন প্রধান উপদেষ্টা। সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন এবং দুদক সংস্কার কমিশনের ১৬৬ সুপারিশের বিষয়ে ৩৮টি রাজনৈতিক দল এবং জোটের কাছে মতামত চাওয়া হয়। মতামত দেওয়া ৩৩ দল এবং জোটের সঙ্গে ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে ৪৫টি বৈঠক করে ঐকমত্য কমিশন।

গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, এই সংলাপের মধ্যে দিয়ে সরকার জুলাই সনদ ঘোষণার চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ হবে। সোমবার ছাড়াও ঈদের আগে-পরে আরও দু্ই একটি সংলাপ হবে। 

প্রথম ধাপের সংলাপে অধিকাংশ দল আনুপাতিক পদ্ধতি উচ্চকক্ষ গঠন, প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা কমাতে জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল গঠনের মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ এবং প্রধানমন্ত্রীর পদ দুইবারে সীমাবদ্ধ করার সুপারিশে একমত হলেও বিএনপিসহ কয়েক দল রাজি হয়নি। এই সুপারিশগুলোকেই মৌলিক সংস্কার বলছে ঐকমত্য কমিশন। 

দ্বিতীয় ধাপের সংলাপের মতভিন্নতা কমিয়ে এনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্য সৃষ্টি করে জুলাইয়ের মধ্যে ‘জুলাই সনদ’ সই করার কথা বলছে কমিশন। এই সনদে বলা থাকবে কী কী সংস্কার কীভাবে হবে। তবে বিএনপি চায় পরবর্তী সংসদে সংস্কার হোক। জামায়াতে ইসলামীর মতামত, গণভোটের মাধ্যমে সংলাপ হবে। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো অভ্যুত্থানের ছাত্রনেতাদের গঠিত দল এনসিপি চায়, গণপরিষদের মাধ্যমে সংস্কার হোক।