ভ্রমণপিপাসুদের বরণে প্রস্তুত শ্রীমঙ্গল, আগাম বুকিং প্রায় শেষ


এবারের ঈদ-উল-আজহায় টানা ১০ দিনের ছুটি কাটাবেন মানুষ। দীর্ঘ এই ছুটি উপভোগ করতে দেশের পর্যটনস্থলগুলোতে ছুটে যাবেন অনেকে। প্রতি বছরের মতো এবারও পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রয়েছে প্রসিদ্ধ পর্যটনস্থল চায়ের রাজধানীখ্যাত শ্রীমঙ্গল।
ইতোমধ্যে ঈদের দীর্ঘ ছুটি উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন হোটেল,রিসোর্ট ও কটেজের বুকিং সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে ৭ থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত হোটেল-রিসোর্টগুলোর প্রায় ৯০% আগাম বুকিং হয়ে গেছে।
শ্রীমঙ্গল ছাড়াও মৌলভীবাজারের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে- খাসিয়া পুঞ্জি, মণিপুরি ও ত্রিপুরাদের গ্রাম, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন, বাইক্কাবিল হাইল, বধ্যভূমি ৭১, নিমাই শিববাড়ী, শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ফিনলে চা বাগানের ভেতরে ডিনস্টন সিমেট্রি।
জেলার উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্রগুলোর মধ্যে আরও আছে- কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, মাধবপুর লেক, ধলই বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, রাজকান্দি বন খাসিয়া পল্লী,হাম হাম জলপ্রপাত,কলাবন, বড়লেখায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত, হাকালুকি হাওর, রাজনগর উপজেলার কমলা রাণীর দীঘি, কাউয়াদীঘি হাওর, জলের গ্রাম অন্তেহরি।
এছাড়া, মৌলভীবাজার সদরে ৫০০ বছরের প্রাচীন স্থাপত্যের খোজার মসজিদ, অজ্ঞান ঠাকুরের দেউল, বর্ষিজোড়া ইকো পার্ক, জুড়ী উপজেলায় কমলার বাগানসহ লাঠিটিলা সংরক্ষিত বন। কুলাউড়া উপজেলার গগনটিলা, কালাপাহাড়ও রয়েছে মৌলভীবাজারের প্রধান পর্যটনকেন্দ্রের তালিকায়।
তবে শ্রীমঙ্গলে চারদিকে সবুজের সমারোহে সজ্জিত সারি সারি চা-বাগানের নয়নাভিরাম দৃশ্য পর্যটকদের মুগ্ধ করে। ফলে শ্রীমঙ্গলে পর্যটকরা সারা বছর ভিড় করেন।
শ্রীমঙ্গলের পর্যটকদের জন্য সবচেয়ে বেশি রিসোর্ট রয়েছে রাধানগর ও ডলুবাড়ি এলাকায়। সেখানের লেমন গার্ডেন রিসোর্টের মালিক সেলিম মিয়া বলেন, “রাধানগর ও ডলুবাড়ি এলাকার সব রিসোর্টেই আগাম বুকিং পেয়েছি। আমাদের লেমন গার্ডেন রিসোর্টে ৮ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রায় সব রুমই আগাম বুকিং হয়ে গেছে। পর্যটকদের কথা ভেবে আমরা সব ধরনের সুযোগ–সুবিধার ব্যবস্থা করেছি।”
শ্রীমঙ্গল পর্যটন সেবা সংস্থার সভাপতি ও গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের মালিক সেলিম আহমেদ বলেন, “শ্রীমঙ্গলের রিসোর্টগুলো বেশির ভাগই শতভাগ বুকিং হয়ে গেছে। সবাই আগাম বুকিং দিয়ে দিয়েছেন। ৭ থেকে ১৫ তারিখের জন্য পর্যটকরা আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন। আমরা এরই মধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আমরা আশা করছি, ঈদের লম্বা ছুটিতে চায়ের রাজ্যে প্রচুর পর্যটকের সমাগম হবে।”
ট্যুরিস্ট পুলিশ শ্রীমঙ্গল জোনের পরিদর্শক মো. কামরুল হোসেন চৌধুরী জানান, “পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিটি দর্শনীয় স্থানে নজরদারি রাখা হচ্ছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ থানার পুলিশ, র্যাব সাদাপোশাকে এবং ট্যুরিস্ট পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় থাকবে।”