৯৯৯ এ আসা ৫৬.২৭ শতাংশ কলই অপ্রয়োজনীয়


বাংলাদেশ পুলিশের পরিচালিত জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জরুরি হেল্পলাইন নম্বর। জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবার জন্য এটি নির্ভরতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। কিন্ত ৯৯৯ এ আসা ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ কলই অপ্রয়োজনীয়।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯–এর দায়িত্বে থাকা পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মহিউল ইসলামের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠার পর থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জরুরি সেবা ৯৯৯ এ মোট ৬ কোটি ২৩ লাখ ৮০ হাজার ৯০৭টি ফোনকল করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ কোটি ৭২ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৬ জন কলকারীকে জরুরি মুহূর্তে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স সেবাসহ বিভিন্ন তথ্যসেবা দেওয়া হয়েছে। যা মোট কলের ৪৩ দশমকি ৭৩ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ৩ কোটি ৫১ লাখ ১ হাজার ২১ টি কল -ব্ল্যাংক কল, প্র্যাংক কল ও মিসড কল যা মোট কলের ৫৬ দশমিক ২৭ শতাংশ।
এতে বলা হয়, অপ্রয়োজনীয় ফোনকল ওয়েইটিং টাইম বাড়িয়ে দ্রুত সেবা নিতে বাঁধার সৃষ্টি করেছে। যা বিপদে পড়া কলারকে সেবা পেতে দেরী করাচ্ছে ও ৯৯৯-এর সেবাদানকারীদের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১ এর ৭০(১) ধারায় বিরক্তিকর কলের জন্য এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ডের শাস্তির বিধান থাকলেও ৯৯৯ এখন পর্যন্ত কারো বিরুদ্ধে এই আইনে অভিযোগ আনা হয়নি।
অভিযোগ না এনে ৯৯৯ সেবাদানকারীরা জনসচেতনতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
এতে যোগ করা হয়, জনসচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ৯৯৯-এ ক্রমেই অপ্রয়োজনীয় কলের সংখ্যা কমে আসছে। অপ্রয়োজনীয় কল শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার প্রচেষ্টায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিশিষ্ট নাগরিক ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।