গণঅভ্যুত্থান: সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান জানাল সেনাবাহিনী

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২২ মে ২০২৫, ১১:১৮ পিএম
গণঅভ্যুত্থান: সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে অবস্থান জানাল সেনাবাহিনী

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সেনানিবাসে আশ্রয়প্রার্থীদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে বিগত সরকারের পতনের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটে। কুচক্রী মহলের উসকানিতে বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, থানায় হামলা, রাজনৈতিক কর্মী ও সমর্থকদের ওপর আক্রমণ, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মব জাস্টিস, চুরি ও ডাকাতিসহ নানা ধরনের বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়ে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হয়।

‘এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে প্রাণ রক্ষায় রাজনৈতিক ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ আশ্রয় প্রার্থনা করেন।’

‘অস্থিতিশীল ওই সময়ে পরিচয় যাচাইয়ের আগে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে জীবন রক্ষা করাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।’

আইএসপিআর বলছে, সে সময়ে ২৪ জন রাজনৈতিক নেতা, ৫ জন বিচারক, ১৯ জন অসামরিক প্রশাসনের কর্মকর্তা, ৫১৫ জন পুলিশ সদস্য, ১২ জন বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা এবং ৫১ জন পরিবারের সদস্যসহ মোট ৬২৬ জনকে সেনানিবাসে সাময়িক আশ্রয় দেওয়া হয়। এদের বেশিরভাগই এক বা দুই দিনের মধ্যে সেনানিবাস ত্যাগ করেন। অভিযোগ থাকা ৫ জনকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এ বিষয়ে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং একই দিনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ১৯৩ জন আশ্রয়গ্রহণকারীর একটি তালিকা পাঠায় (যার মধ্যে ৪৩২ জন পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত ছিল না)।

আইএসপিআর বলছে, এটি একটি নিষ্পন্ন বিষয় ছিল এবং মানবিক দায়বদ্ধতা থেকেই আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল।

‘কিছু স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে, জুলাই-আগস্ট পরবর্তী সেনানিবাসে আশ্রয় গ্রহণকারী ৬২৬ জন ব্যক্তির পূর্ণাঙ্গ তালিকা (৪৩২ জন পুলিশ সদস্য ও ১ জন এনএসআই কর্মকর্তাসহ) প্রকাশ করেছে।’

আইএসপিআর বলছে, সেনাবাহিনী জনগণকে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচার থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি পেশাদারিত্ব, নিষ্ঠা ও আস্থার সঙ্গে জাতির পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।