জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় ‘আপ বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:০৯ মে ২০২৫, ১১:২৪ পিএম
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রেরণায় ‘আপ বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ

ফ্যাসিবাদ, আধিপত্যবাদ, ধর্ম বিদ্বেষ এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করল ‘ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)’। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকল সংগঠকের মতামতের ভিত্তিতে আলী আহসান জুনায়েদকে আহ্বায়ক ও আরেফিন মোহাম্মদ হিযবুল্লাহকে সদস্য সচিব করে ‘আপ বাংলাদেশ’-এর আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা নতুন রাজনৈতিক এই প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন জুলাই বিপ্লবের শহীদ ওসমান পাটওয়ারীর পিতা আব্দুর রহমান। 

সংগঠনের মুখপাত্র হিসেবে শাহরিন সুলতানা ইরা, প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে রাফে সালমান রিফাত এবং প্রধান সংগঠক হিসেবে নাঈম আহমেদ মনোনীত হয়েছেন। 

এ সময় শহীদের পিতা আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের খুনিরা চোখের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আজ নয় মাস চলে গেলেও দৃশ্যমান কোন বিচারের ব্যবস্থা আমরা দেখতে পাইনি। বিচারের শুরুতেই খুনী আওয়ামীলীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।’ 

সংগঠনের পক্ষে ৮২ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ। তিনি বলেন, জুলাইয়ের আকাঙ্খা বাস্তবায়ন করাই হবে আপ বাংলাদেশের প্রধান উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন, সমাজের সর্বস্তরে যোগ্য ও নৈতিক নেতৃত্বের প্রতিষ্ঠা, সামাজিক সুবিচার ও মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠাকরণ এবং  ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধাশীল সামাজিক চুক্তির পুনর্বহাল এর মাধ্যমে বৈষম্যহীন-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠন করার ভিশনকে সামনে নিয়ে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্ল্যাটফর্মটি।

আর মিশন হচ্ছে পিলখানা, শাপলা ও জুলাই গণহত্যার মতো ভয়াবহ অপরাধের বিচার, ফ্যাসিবাদী দল আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ, পাচারকৃত হাজার হাজার কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনা এবং জুলাইয়ের আহত যোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে আর্থ-সামাজিকভাবে স্বাবলম্বী করে তোলার দাবিতে জনমত ও রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তোলা।

বাংলাদেশের নারী ও কিশোরীদের সামাজিক, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা প্রদান করা, শালীন সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশ তৈরি করা এবং রাজনীতি, অর্থনীতিসহ সকল সেক্টরের নারীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করা। সকল ধর্ষণ মামলার দ্রুত বিচার, ধর্ষকের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিতকরণ করতে জনগণকে সাথে নিয়ে কাজ করে যাওয়া। দেশের সকল সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, পাহাড়ি, জেলে সম্প্রদায়ের আর্থ-সামাজিক মুক্তি নিশ্চিত করতে প্রাইভেট সেক্টরের সাথে সমন্বয় করে টেকসই অর্থনৈতিক আজাদি নিশ্চিত করতে অব্যাহতভাবে কাজ করে যাবে ‘আপ বাংলাদেশ।’