জাতীয় নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি কতদূর?

Bangla Post Desk
DW
প্রকাশিত:০৯ মে ২০২৫, ০৪:৪৭ পিএম
জাতীয় নির্বাচনের জন্য কমিশনের প্রস্তুতি কতদূর?

নির্বাচন আয়োজনের প্রধান প্রস্তুতি নির্বাচন কমিশনের (ইসি)। তার সঙ্গে দরকার হয় সরকারের প্রস্তুতি। নির্বাচন কমিশনকে নিরাপত্তা, প্রশাসনিক সহায়তা এবং অর্থ সহায়তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। প্রস্তুত হতে হয় রাজনৈতিক দলগুলোকেও।

নির্বাচনে নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করে সামরিক, আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ। আর জেলা প্রশাসকেরা জেলা রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন। ভোটের সময় প্রয়োজন হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। আর সেই আদালতে দায়িত্ব পালন করে প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তবে সবার আগে প্রস্তুত হতে হয় নির্বাচন কমিশনকে।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচনের প্রস্তুতি দুই ভাগে নিতে হয় কমিশনকে। তফসিল ঘোষণার আগে এবং তফসিল ঘোষণার পরে। তফসিল ঘোষণার আগে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসতে হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে বসতে হয়। সরকারের গ্রিন সিগন্যাল নিতে হয়। কারণ, নির্বাচন কমিশন একা তো আর নির্বাচন করতে পারে না।”

তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনের জন্য ঋতুও একটা বড় বিষয়। সাধারণত বর্ষা মৌসুমে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হয় না। অক্টোবর থেকে মার্চ, এপ্রিল পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনের ভালো সময়। রোজা, ঈদের সময় নির্বাচনের সময় এড়ানো হয়।

প্রধান উপদেষ্টা বিভিন্ন সময়ে বলেছেন, চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে অনুযায়ী ডিসেম্বরে নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন বলেন, “আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের একটা টাইমলাইন করে কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। কিছু কাজ আছে রুটিন ওয়ার্ক। কিছু কাজ আছে ধারাবাহিকভাবে করতে হয়। আমরা সবই করছি।”

মোটাদাগে নির্বাচনের প্রস্তুতির মধ্যে আছে ছবিসহ বিতর্কমুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি, সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা, নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, দেশি পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন দেওয়া এবং বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আমন্ত্রণ জানানো। আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এক্ষেত্রে কতটা প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন?

ভোটার তালিকা শেষ পর্যায়ে, সীমানা নির্ধারণ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে

আইন অনুযায়ী, ইসি প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চের মধ্যে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে। এছাড়া প্রয়োজনে যেকোনো সময় তালিকা সংশোধন করতে পারে ইসি।

গত ২ মার্চ হালনাগাদ (২০২৪ সালের সর্বশেষ তথ্য) ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। চলতি বছরের হালনাগাদ কার্যক্রমও চলছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন। জুন মাসের মধ্যে এই কাজ শেষ হওয়ার কথা। তবে এটি চূড়ান্ত হবে আগামী বছরের ২ মার্চ। এর আগে নির্বাচন হলে ভোটার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের তালিকাভুক্ত করতে আইনে সংশোধনী আনার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানান নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার।

আখতার হোসেন জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদের মাঠ পর্যায়ের কাজ তারা সেরে ফেলেছেন। যাচাই-বাছাই শেষে দ্রুতই তারা ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে পারবেন।

তবে সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেন, “নির্বাচন যদি আরও এক বছর পর হয়, এর মধ্যে আরও অনেকে ভোটার হওয়ার যোগ্য হবেন। ফলে, নির্বাচনের আগে আবার ভোটার তালিকা করতে হবে। এখন যেটা হচ্ছে, সেটা হলো, প্রতিবছর নিয়ম অনুযায়ী যে হালনাগাদ করা হয়, তা।”

সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ কারার কাজও চলছে বলে কমিশন জানিয়েছে। আইন অনুযায়ী, কোনো আদমশুমারির পর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনের আগে ও ইসি চাইলে যেকোনো জাতীয় নির্বাচনের আগে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করতে পারে। এই কাজে অতীতে দুই থেকে চার মাস সময় লেগেছে।

নির্বাচন কমিশন সচিব বলেন, “সীমানার বিষয়টি এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পেন্ডিং আছে।”

নির্বাচনের অন্তত ২৫ দিন আগে ভোট কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করতে হয়। সাধারণত বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ভোটকেন্দ্র হিসাবে কাজে লাগানো হয়।

নির্বাচনের আগে আরেকটি কাজ হলো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন। ২২ জুন পর্যন্ত নিবন্ধনের আবেদনের সময় দেওয়া হয়েছে। শর্ত অনুযায়ী, আবেদনগুলো যাচাই বাছই করতে হয় সরেজমিন। তারপর নিবন্ধন দেওয়া হয়। আর তা তফসিল ঘোষণার আগেই শেষ করতে হয়।

আখতার হোসেন জানান, স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সসহ কেনাকাটার জন্য টেন্ডার কল করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই এগুলো হবে বলে তিনি মনে করেন।

রাজনৈতিক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এগুলো তো নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ওপর নির্ভর করে। আমরা তো এখনও বলতে পারছি না তফসিল কবে ঘোষণা করতে পারবো। এটা তো আমাদের একার বিষয় নয়। নির্বাচনের তফসিলের সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে। তাদের সঙ্গে এর একটা সম্পর্ক আছে।”

নির্বাচনের বাজেট পাশ হতে পারে ‘৭ দিনে'

নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে হয় নির্বাচন কমিশনকে। ভোটের জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে স্বচ্ছ ব্যালটবাক্স ও ঢাকনা, ছবিসহ ভোটার তালিকা ছাপানো, ব্যালট পেপার, অমোচনীয় কালি, কয়েক ধরনের সিল, গালা, স্ট্যাম্প প্যাড, কালি, থলে, ১৭ ধরনের খাম, কাগজ, কলম, ছুরি, মোমবাতি, দেশলাইসহ অনেক কিছুরই প্রয়োজন হয়। ব্যালট পেপারের কাগজ সাধারণত রাষ্ট্রায়ত্ত কর্ণফুলী পেপার মিল থেকে নেওয়া হয়। ভোটের বেশ আগেই তাদের কাছে চাহিদাপত্র দিতে হয়। আর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হওয়ার পর ব্যালট পেপার ছাপা হয় সরকারি ছাপাখানায়। এর বাইরে অন্য সামগ্রী কিনতে হয় উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে। এই কারণে কিছুটা দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয় কেনাকাটায়।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “প্রিন্টিং-এর কিছু কাজ আছে, যা তফসিল ঘোষণার আগেই করতে হয়। তার মধ্যে আছে নানা ধরনের খাম, প্যাকেট, প্যাকেজিং ম্যাটারিয়াল, ব্যালট বক্স ইত্যাদি। কিছু করতে হয় তফসিল ঘোষণার পরে। আর কিছু করতে হয় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার পর যেমন ব্যালট পেপার।”

রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয় ভোটের তফসিলের সময়। সাধারণত জেলা প্রশাসকদের রিটার্নিং কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয়। আর প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের৷ চূড়ান্ত করা হয় তফসিল ঘোষণার পর৷ এরপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের।

ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজটি করে পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনী। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা থাকেন স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে। তফসিল ঘোষণার পর বিভিন্ন বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করে নির্দেশনা দিয়ে থাকে ইসি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১,৪৫৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এই বাজেটও পাশ করাতে হয় অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে। রফিকুল ইসলাম বলেন, “বাজেট পাশে কোনো সমস্যা হয় না। এটার একটি নির্ধারিত ব্যবস্থাই আছে। সাত দিনের মধ্যে হয়ে যায়।”

আইন ও বিধি পরিবর্তনের কতদূর

আইন অনুযায়ী কমপক্ষে ৩৯ দিন আগে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হয়। তফসিল ঘোষণার পর অনেক চাপ থাকে তাই সাধারণত ৫০-৫৫ দিন সময় রেখে তফসিল ঘোষণা করা হয় বলে জানান রফিকুল ইসলাম।

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন বলেন, “নির্বাচনের আগে কিছু নীতিমালা সংশোধন করতে হবে। ওই সংশোধন এবং নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে একজন নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে একটি কমিটি কাজ করছে। দেশি পর্যবেক্ষকদের নিবন্ধন নিয়েও কাজ হচ্ছে। এগুলো দ্রুতই হয়ে যাবে।”

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ বেশ কিছু আইনবিধিতে সংশোধনী আনার প্রস্তাব করেছে। গত ১৯ মার্চ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নয়টি প্রস্তাব ইসির কাছে পাঠিয়েছে। সেগুলো হলো গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন সংশোধন, নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন সংশোধন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ও গণমাধ্যম নীতিমালা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংশোধন, হলফনামার খসড়া, ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা, পোস্টাল ব্যালটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং রাজনৈতিক এবং নির্বাচনী অর্থায়নে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চা নিশ্চিত করা। এই প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে কত সময় লাগতে পারে এবং এতে কোনো টাকা খরচ হবে কি-না, তা জানাতে বলা হয়েছে।

সংসদ নির্বাচনের আচরণবিধিমালার খসড়া প্রায় চূড়ান্ত করেছে ইসির সংশ্লিষ্ট কমিটি। এটি অনুমোদনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সভায় তোলা হবে। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের অধিকাংশ সুপারিশ প্রস্তাবিত আচরণবিধিমালায় যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি।

নির্বাচন কমিশন সচিব আরও বলেন, “এসব সংস্কার ও আইন পরিবর্তন নিয়ে কমিশনের কমিটি কাজ করছে।”

নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “নির্বাচনের আগে কিছু সংস্কার তো করতে হবে। কিছু সংস্কার আছে সংবিধান সংশোধন না করেও করা যাবে। রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনে পরিবর্তন আনতে হবে, কালো টাকা বন্ধ করতে হবে। আরও কিছু আইন ও বিধি পরিবর্তন করতে হবে। এখন সেগুলো কত দ্রুত হয়, তা দেখার আছে। ডিসেম্বরে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তারা সেটা করতে পারবে কি-না, সেটা তো তাদের কাজেই বোঝা যাবে। আমি তো বাইরে থেকে কিছু বলতে পারবো না।”

সফল নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কমিশন ছাড়া বাকিদের ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য বলে মনে করেন তিনি। বলেন, “আর এই নির্বাচন কমিশন একটি সফল নির্বাচন করতে পারবে কি-না তা আমি বলতে পারছি না। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সরকার, পুলিশ ও প্রশাসন তাদেরও কাজ আছে। কমিশন তো একা নির্বাচন করতে পারে না।”

প্রশাসন কতটা তৈরি

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে। থানায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ছাড়াও পুলিশের প্রায় ৩০০ অপারেশনাল গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ৬৩৯টি থানার মধ্যে ৪৬০টি থানায় এবং অন্যান্য পুলিশ স্থাপনায় আগুন দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, থানাগুলো মেরামত করা হয়েছে। আর গাড়ির ঘাটতি পূরণে পুলিশের জন্য ২০০টি ডাবল কেবিন পিকআপ কেনা হচ্ছে।

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “নির্বাচনের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের মনোবল কতটুকু আছে তা বিবেচনার দাবি রাখে। তবে তা নির্ভর করছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের যারা নেতৃত্বে আছেন তাদের ওপর।”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, “আমাদের জানামতে, নির্বাচন কমিশন ডিসেম্বরে নির্বাচন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে পুলিশের মনোবল এখনও ফিরে আসেনি। আর সরকারের কিছু উপদেষ্টা আছে যাদের নির্বাচনে অনীহা আছে। এখন নির্বাচন কমিশনকে অসহযোগিতা করলে তো নির্বাচন কমিশন এগোতে পারে না।”

তবে এননিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সরোয়ার তুষার বলেন, “এই কমিশন ইতোমধ্যে তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে মেয়র হিসাবে ইশরাক হোসেনের গেজেট জারি করে। তারা যেন কোনো একটি পক্ষের হয়ে নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু প্রয়োজনীয় সংস্কার ছাড়া তো নির্বাচন সম্ভব নয়।”

বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আগে নির্বাচন কবে হবে, কীভাবে হবে সেটার একটা রাজনৈতিক ঐক্য হতে হবে। একটি জাতীয় সনদ তৈরি করতে হবে। নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিতে পারে। কিন্তু রাজনৈতিক ঐক্য ছাড়া তো আর তফসিল হবে না।”

নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার হোসেন বলেন, “ঐকমত্য তৈরির জন্য তো জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কাজ করছে।”