বছরে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদন, নদীতে পড়ে হাজার হাজার টন


বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ২৪ থেকে ২৬ হাজার টন বর্জ্য নদী, খাল-বিল ও নালায় পড়ে গিয়ে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বন্যা ও জলাবদ্ধতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধে বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা, বাজার মনিটরিং কমিটি, ব্যবসায়ী নেতা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এই সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ।
সভায় মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সিদ্ধার্থ সরকার কুন্ডু ‘নিষিদ্ধ পলিথিন ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক দুষণ প্রতিরোধে করণীয়’ বিষয়ে একটি গবেষণা উপস্থাপন করেন।
এতে জানানো হয়, সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রতি বছর ৫৪ টন প্লাস্টিক বর্জ্য সুরমা নদীতে ফেলা হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, ইতোমধ্যে দেশে ১১টি পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা সিলগালা করা হয়েছে। পরিবেশ রক্ষায় পলিথিন ও প্লাস্টিক দুষণ রোধে সামাজিকভাবে গণসচেতনতা বাড়াতে হবে এবং দ্রুত সব পলিথিন উৎপাদনকারী কারখানা বন্ধ করতে হবে।
সভায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, পরিবেশবিদ, পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।