রাজধানীর পল্টন দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন জাহিদুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী। হঠাৎ বাতাসে ধুলোবালি এসে নাকে-মুখে ঢুকে যায় তার। চারপাশে গাড়িগুলো পাল্লা দিয়ে হর্ন বাজিয়ে যাচ্ছে, দুই কান হাত দিয়ে চেপে ধরেও রেহাই পাচ্ছেন না।
তার ভাষ্যে, ‘মানুষ বাস করার মতো অবস্থায় নেই এই শহর। কেবল চাকরি করতে হবে বলে ঢাকায় আছি, নাহলে অনেক আগেই (এই শহর ছেড়ে) চলে যেতাম।’
‘সবকিছু ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় নাগরিকদের এই শহরে এসেই ভিড় করতে হচ্ছে। ইচ্ছা থাকলেও নিরাপদ জীবনের খোঁজে অন্যত্র যাওয়া সম্ভব নয়’, বুধবার (১৯ মার্চ) কথাগুলো বলছিলেন তিনি।
নগরীর গণপরিবহনগুলোতে বেশিরভাগ সময়ই যাত্রীদের দাঁড়ানোর মতো জায়গাও থাকে না। বাইরে বের হলে বাসের দরজায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের ঝুলে থাকার দৃশ্য চোখে পড়তে বাধ্য। বারিধারা
ডিওএইচএসে বসে এসব কথারই পুনরাবৃত্তি করছিলেন বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা মারুফুল হক। বলেন, ‘অফিসের সময় বাসে জায়গা পাওয়া যায় না; আবার অফিস কামাইও দেওয়া যাবে না। যে কারণে লোকজন ঠেলেঠুলে হলেও বাসে উঠতে হয়। অনেকসময় ভেতরে একদমই জায়গা থাকে না, সেক্ষেত্রে দেরিতে অফিসে প্রবেশ এড়াতে গেটে ঝুলে পড়া ছাড়া উপায় থাকে না।’
‘ঢাকার সড়কে যানজট, বাসে ভিড়; আবার ফুটপাত দিয়ে হেঁটে চলাচল করবেন, তারও জো নেই। একে তো অনেক ফুটপাত ভাঙাচোরা, কোথাও আবার ম্যানহোলের ঢাকানা নেই; তার ওপর আবার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের কারণে হাঁটার জায়গাও নেই অনেক জায়গায়।’
মারুফুল বলেন, ‘অর্থাৎ চলাচলের সব বিকল্প বন্ধ। ফলে রাস্তায় বের হলেই দুর্ভোগ পোহাতে হবে—এ একপ্রকার নিশ্চিত।’
‘অথচ এই শহরেই আমাদের বাস করতে হচ্ছে। গাদাগাদি করে বাসে উঠি, যানজট ঠেলে কোনোরকমে অফিসে পৌঁছাই। ক্লান্তি নিয়ে সারা দিন কাজ করি।’
ঢাকার বিকল্প কোনো রাজধানীর দরকার আছে কি না—জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. এম শামসুল হক বলেন, ‘বিশ্বের চল্লিশটির মতো দেশ তাদের রাজধানী অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। কয়েকটি দেশ এ প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সর্বশেষ ইন্দোনেশিয়া তাদের রাজধানী পরিবর্তন করে নুসানতারায় নিয়ে গেছে। মিসরও চলে যাচ্ছে।’
কাজেই বাংলাদেশের রাজধানীও অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া এমন একটি বাস্তবতা, যা নিয়ে সমীক্ষারও প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।
শামসুল হক বলেন, ‘চিকিৎসক যেমন রোগীর রেকর্ড দেখলে বুঝতে পারেন, হার্টবিট ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, তখন তো চিকিৎসকরা বলেন, এটা বেয়ন্ড রিপেয়ারড (মৃত্যু আসন্ন)। এরকম ঢাকার সবকিছুই এত তলানির দিকে চলে যাচ্ছে যে, এত এত বিনিয়োগ করার পরও অর্থাৎ এত চিকিৎসা করার পরও কোনো উন্নতি হচ্ছে না, একেবারে নন-রেসপন্সিভ।’
ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, মিয়ানমার, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিসর ও দক্ষিণ কোরিয়াও তাদের রাজধানী পরিবর্তন করেছে কিংবা করছে। অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও যানজটের কারণেই দেশগুলো তাদের রাজধানী পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভূগর্ভস্থ পানি ফুরিয়ে যাওয়া, পরিবেশগত উদ্বেগ, দূষণ, প্রাকৃতিক বিপর্যয়—এমন নানা কারণে বিভিন্ন দেশের রাজধানী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি আরও আধুনিক, স্মার্ট, পরিবেশগত টেকসই ও বিনিয়োগবান্ধব রাজধানী গড়ে তুলছে দেশগুলো।
বিকল্প রাজধানী হতে পারত পূর্বাচল
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ঢাকারও বিকল্প বের করা একটি চরম বাস্তবতা বলে উল্লেখ করেছেন ড. এম শামসুল হক।
তার ভাষ্যে, ‘অনেকের কাছে শকিং (তাক লাগানো) মনে হতে পারে, অনেকের কাছে এমন কিছু আবেগেরও মনে হতে পারে; কিন্তু আবেগ দিয়ে তো আর দেশ চলে না। যদি আমরা অনেক আগেই (এ বিষয়ে) চিন্তা করতাম, তাহলে অনেক সম্ভাবনা ছিল। এমনকি কম খরচে পূর্বাচলে আমরা বিকল্প রাজধানী করে ফেলতে পারতাম।’
‘পূর্বাচলের জায়গাটা অনেক উঁচু, বন্যামুক্ত। কৌশলগতভাবে একটি রাজধানী শহর বন্যামুক্ত হওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে পূর্বাচল উঁচু জায়গায়, মাটিও অরিজিনাল।’
ঢাকার অন্যান্য জায়গায় মাটি ভরাট করে সবকিছু করা হয়েছে। মাটি ভরাট করে অবকাঠামো নির্মাণ করা হলে যেকোনো ভবনের ভিত্তি ব্যয় অনেক বেড়ে যায় বলে উল্লেখ করেন এই নগর প্রকৌশলী।
দুর্বল মাটিতে বিনিয়োগও খুব একটা কার্যকর হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগের একটি অংশ দুর্বল মাটির জন্য নষ্ট হয়ে যায়। ফলে রাজধানী এমন একটি জায়গায় হতে হয়, যেখানকার মাটি ভালো। সে অনুসারে পূর্বাচল ভালো অপশন ছিল।’
‘অথচ সেখানে সাত হাজার একরের একটি টাউনশিপ গড়ে তোলা হয়েছে। প্লট দিয়ে ব্যক্তিকে কোটিপতি বানানো হয়েছে। এত বড় অন্যায় একবিংশ শতাব্দীতে কেউ করবে না, যেটা সেখানে হয়েছে।’
‘যদি আবাসনের কথা বলি, তাহলে ফ্ল্যাট দেওয়া যায়; কিন্তু আমাদের মতো জনবহুল দেশে প্লট দেওয়া যায় না।’
রাজধানী হিসেবে ঢাকার কার্যকারিতা নেই উল্লেখ করে এই অধ্যাপক বলেন, ‘তবে এটি নিয়ে বিতর্ক হতে পারে। সেক্ষেত্রে অবশ্য লাভেই হবে, কারণ তাতে মানুষের মধ্যে কোনো প্রশ্ন থাকলে তা দূর হয়ে যাবে, সিদ্ধান্ত নিতে সরকারের সুবিধা হবে।’
‘কিন্তু কেউ যদি এসব নিয়ে নাড়াচাড়াই না করেন, তাহলে একজন রোগী মারা যাচ্ছেন কিনা, পয়েন্ট অব নো রিটার্নের দিকে চলে যাচ্ছেন কিনা— তা কিন্তু বোঝা যাবে না। এতে আমরা একটি অদূরদর্শী জাতি হিসেবে পরিচিতি পাব।’
ইন্দোনেশিয়ার উদহারণ টেনে তিনি বলেন, ‘তারা জাকার্তা থেকে রাজধানী সরিয়ে নুসানতারায় নিয়ে গেছেন। এতে খরচ হয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার। গত অক্টোবরে তাদের কাজের প্রথম ধাপ শেষ হয়েছে। মিসরের রাজধানী কায়রো থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমরা যে ছয়টি মেট্রো করতে যাচ্ছি, সেটারও ২০ থেকে ২৫ বিলিয়ন ডলার খরচ পড়বে।’
বিনিয়োগ ও পরিবেশবান্ধব, বাসযোগ্য, দূষণমুক্ত, গ্রিনসিটি হিসেবে ভাবলে ঢাকা কখনোই হবে না বলে জানান তিনি।
‘ঢাকায় যেভাবে ভূগর্ভস্থ পানি তোলা হচ্ছে, তাতে প্রতিনিয়ত আমাদের পানির স্তর নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে, ফলে পানি গভীর থেকে গভীরে নেমে যাচ্ছে।’
‘জাকার্তায়ও একই অবস্থা হয়েছিল। সেখানে অতিরিক্ত জনসংখ্যার কারণে ভূগর্ভস্থ পানি বেশি তোলা হয়েছিল। একসময় দেখা গেল, পানি পাওয়া যাচ্ছে না। পানি না থাকলে বসতি হবে কীভাবে! ঢাকায়ও ভূগর্ভস্থ পানি দিন দিন তলানির দিকে চলে যাচ্ছে।’
শামসুল হক বলেন, ২০০৫ সালেও ঢাকা শহরে গাড়ির গতি ঘণ্টাপ্রতি ২৫ কিলোমিটার ছিল। এখন সেটা প্রতি ঘণ্টায় পাঁচ কিলোমিটারে নেমে এসেছে। ঢাকা শহরের হার্টবিট কমে শূন্যের দিকে যাচ্ছে। আমরা ঢাকাকে বাঁচাতে অনেক কিছু করেছি, কিন্তু ধীরে ধীরে এই শহরের অধঃপতন হয়েই চলেছে।’
জনবহুল শহর ঢাকা
আয়তনের তুলনায় ঢাকার জনসংখ্যা অনেক বেশি বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের জনসংখ্যা সমস্যাটাই হচ্ছে মূল বিষয়। মাত্র সাড়ে ৩০০ বর্গ কিলোমিটারের যে শহর, সেখানে প্রায় দেড় থেকে পৌনে দুই কোটি মানুষ বাস করছেন। যদিও বিবিএসের (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো) পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকার জনসংখ্যা এক কোটি ছয় লাখ, তবে সেটা সঠিক নয়।’
‘ঢাকায় ৪৮ হাজার মানুষ এক বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে বাস করছেন। এতে সবচেয়ে জনবহুল রাজধানীর খেতাব পেয়েছে ঢাকা শহর। প্রতিটি জায়গার একটি ক্যারিং ক্যাপাসিটি (ধারণক্ষমতা) আছে, সেই ক্যাপাসিটির চেয়ে অনেক বেশি মানুষ ঢাকা শহরে বাস করেন।’
‘আদর্শগতভাবে একটি শহরে একরপ্রতি মানুষ বাস করা উচিত দুইশর কম। সেই তুলনায় ঢাকা শহরের একরপ্রতি জনঘনত্ব অনেক বেশি, কোনো কোনো এলাকায় সেটি সাড়ে ৩০০ পেরিয়ে যায়। যেমন, লালবাগ এলাকায় এই সংখ্যাটি ছয়শর মতো।’
ড. আকতার মাহমুদ বলেন, ‘ক্যারিং ক্যাপাসিটির বেশি পরিমাণ মানুষ যখন একটি জায়গায় বসবাস করেন, সেখানে কয়েকটি নেগেটিভ এক্সটারনালিটিজ (পরোক্ষ ক্ষতি) তৈরি হয়। এর মধ্যে বায়ুদূষণ, পানিদূষণ, শব্দদূষণ থেকে শুরু করে সব ধরনের দূষণ রয়েছে। নদী-নালা, খাল-বিলগুলোর অবস্থা দেখলেই এর প্রভাব বুঝতে পারবেন। এর পাশাপাশি মরার ওপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো রয়েছে যানজট।’
তিনি বলেন, ‘এতে মানুষের জীবনমান অনেক খারাপ হয়ে যায়। জনসংখ্যার বিপরীতে যে পরিমাণ নাগরিক সুবিধা থাকা উচিত, সেটা থাকে না। যে কারণে দেখবেন, আমাদের স্কুলগুলোতে কোনো খেলার মাঠ নেই। বাচ্চারা মুরগির খোপের মতো একটি স্কুলঘরে ক্লাস করে। এতে তাদের মানসিক বিকাশ হয় না।’
শুধু তা-ই নয়, মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলো মেটানোও কঠিন হয়ে পড়ে বলে মন্তব্য করেন এই নগর-পরিকল্পনাবিদ।
‘আপনি দেখবেন, এখানে চিকিৎসকের সিরিয়াল পাওয়া যায় না। সব জায়গায় অতিরিক্ত ভিড়। যদি কোনো বাস স্টেশনে, হেলথকেয়ার কিংবা হাসপাতালে যান, কোথাও নাগরিক সুবিধা পাওয়া যাবে না। আবার পেতে হলে অনেক বেশি চেষ্টা করতে হয়। এর মানে হলো জনপরিসর অপ্রতুল। খোলা জায়গা ও পার্কগুলোর দিকে তাকান।’
‘সবকিছু বিচার বিশ্লেষণ করলে আমরা বলব যে ঢাকা শহরের জনসংখ্যা এত বেশি যে সেই অনুপাতে নাগরিক সুবিধা এখানে নেই,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘কুড়িগ্রাম থেকেও ঢাকায় মানুষ আসেন, আবার সাতক্ষীরা থেকেও আসেন। তিনটি প্রধান কারণে তারা আসেন: কর্মসংস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা। এছাড়া নদীভাঙনসহ আরও অনেক কারণ আছে।’
রাজধানী সরিয়ে নেওয়াই কি সমাধান
সেক্ষেত্রে ঢাকার এই জনচাপ কমাতে রাজধানী সরিয়ে নেওয়ার মতো সম্ভাবনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেননি তিনিও। অন্য উপায়গুলোর সঙ্গে এটিও একটি ভেবে দেখার মতো বিষয় বলে জানান এই শিক্ষক।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার শহরের এই পরিস্থিতি রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। সেটি করতে গেলে কিছু কিছু কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।’
‘সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া, অর্থনীতি, লেখাপড়া, বিচারিক ও স্বাস্থ্যসেবা—সবকিছুর কেন্দ্র ঢাকা। সে কারণে কোনো কোনো দেশ এমন সমস্যায় পড়লে শহর থেকে কোনো কোনো কার্যক্রমকে কেন্দ্রবিমুখ করে ফেলে। কেউ কেউ রাজধানীও সরিয়ে নিয়েছে।’
তবে বাংলাদেশের মতো একটি দেশের রাজধানী সরিয়ে নেওয়া খুবই খরচের বিষয় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজধানী না সরিয়ে পুত্রজায়ায় একটি প্রশাসনিক এলাকা গড়ে তুলেছে মালয়েশিয়া। জার্মানিতে ফ্রাঙ্কফুট হয়েছে অর্থনৈতিক রাজধানী।’
‘এভাবে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক রাজধানী চট্টগ্রাম এবং প্রশাসনিক কাজের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম কিংবা কুমিল্লার মতো একটি জায়গা নির্ধারণ করা যেতে পারে।’
এভাবে কিছু কিছু কাজ সরিয়ে নিয়ে রাজধানী না সরিয়েও ঢাকার ওপর চাপ কমিয়ে ফেলা সম্ভব বলে মত দেন আকতার মাহমুদ।
তার কথায়, ‘আমরা যেন সমস্ত কাজ ঢাকাকেন্দ্রিক করে না ফেলি। এখন যদি বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়, তাহলে ঢাকার প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যাবে, আর দেশের চারদিকে মানুষ ছড়িয়ে পড়বে।’
‘সমগ্র বাংলাদেশ নিয়ে পরিকল্পনা করাটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য বিভাগীয় ও জেলা শহরগুলোতে সরকারি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, যাতে কর্মসংস্থান তৈরি হয়। পাশাপাশি জেলা শহরগুলোতে বিনিয়োগে প্রণোদনা দিয়ে প্রাইভেট কোম্পানিগুলোকে উৎসাহিত করতে হবে। এভাবে কাজগুলো অন্য বিভাগীয় ও পৌর শহরে সরিয়ে নিতে হবে। তাহলে লোকজন নিজের বাড়িতে কিংবা এলাকার কাছাকাছি বসবাস করা শুরু করবে।’