সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে বাসসকে নিজস্ব আয়ে পরিচালনার সুপারিশ


সরকারি সংবাদ সংস্থা বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)কে সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে নিজস্ব আয়ে পরিচালনার সুপারিশ করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। কমিশন সদস্য সৈয়দ আবদাল আহমেদ ইন্ডিয়ার প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) মডেল অনুকরণে বাসসকে পুনর্গঠনের এ প্রস্তাবটি আলাদাভাবে সুপারিশমালায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছেন।
শনিবার (২২ মার্চ) রাষ্ট্রৗয় অতিথি ভবন যমুনায় কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে এসব প্রস্তাবনা দেওয়া হয়।
কমিশনের সুপারিশে বাসস সম্পর্কে বলা হয়, কমিশন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার বিষয়ে বিকল্প যে প্রস্তাব পেয়েছে, সেটিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে। ওই প্রস্তাবেও বাসস সরকারি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়ে নিজস্ব আয়ে পরিচালিত করা প্রয়োজন।
এছাড়াও সংবাদমাধ্যম মালিক (নোয়াব ও অ্যাটকো) ও সম্পাদকদের প্রতিনিধি, সরকারের প্রতিনিধি (সর্বোচ্চ দুইজন), প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এর প্রতিনিধি ও একজন গণমাধ্যম বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে ট্রাস্টি বোর্ড গঠন করা হবে। যার মধ্য থেকে ট্রাস্টিরাই একজন চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন। ট্রাস্টি এবং চেয়ারম্যানের মেয়াদ নির্ধারণ করতে হবে তিন থেকে চার বছরের মধ্যে এবং কেউই পরপর দ্বিতীয় মেয়াদের যোগ্য হবেন না। এক মেয়াদে বিরতির পর পুনর্নির্বাচনের যোগ্য হবেন।
বাসসের বর্তমান সম্পদের পুরোটাই অথবা অংশবিশেষ সরকার ট্রাস্টের কাছে হস্তান্তর করবে। এ ট্রাস্ট তথ্য সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করবে। ট্রাস্ট সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের যোগ্যতা নির্ধারণ করবে এবং সেই শর্ত পূরণ সাপেক্ষে পদগুলো পূরণ করবে। সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ট্রাস্টের কাছে জবাবদিহি করবেন। ট্রাস্ট দ্রুততম সময়ে নিয়োগবিধি তৈরি করবে এবং তার ভিত্তিতে বর্তমান জনবলের নিয়োগ যাচাই করবে।
যারা যোগ্যতার শর্ত পূরণ করতে পারবেন না, তাদের প্রশিক্ষণের সুযোগ দিয়ে আবারও যোগ্যতার পরীক্ষা দিতে হবে। দ্বিতীয়বারও কেউ যোগ্যতার শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে সরকার তাকে অন্য কোনো চাকরিতে আত্তীকরণ করবে। আর যারা বিকল্প চাকরিতে আগ্রহী নয়, তাদের বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সব পাওনা পরিশোধের পর চাকরির অবসায়ন ঘটবে।