স্বাস্থ্যের আলোচিত ঠিকাদার মিঠু ৫ দিনের রিমান্ডে

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৪১ পিএম
স্বাস্থ্যের আলোচিত ঠিকাদার মিঠু ৫ দিনের রিমান্ডে
ছবি : সংগৃহীত

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় স্বাস্থ্য খাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজ তার এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন

এদিন কারাগার থেকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। দুদক তাকে জিজ্ঞাবাদের জন্য ১০ দিনের আবেদন করে। এ সময় আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শফিকুল ইসলামবোরহান উদ্দিন রিমান্ড বাতিলজামিন চেয়ে আবেদন করেনদুদক প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান থেকে মিঠুকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরদিন তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে দুদক। ওইদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে রিমান্ড শুনানির জন্য ১৮ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ ও টেকনোক্রেট নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মিঠু কৃষিজমি ক্রয়, জমি লিজ, প্লট, ফ্ল্যাট ও বাড়ি নির্মাণে মোট ১৮ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ার ও বিনিয়োগ, গাড়ি ক্রয়, ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী মিলিয়ে আরও ৫৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ তার নামে পাওয়া গেছে। স্থাবর ও অস্থাবর মিলিয়ে সম্পদের মোট মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এছাড়া মিঠুর নামে পারিবারিক ব্যয় ধরা হয়েছে ৭১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ সম্পদ ও ব্যয়সহ তার মোট সম্পদের হিসাব দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৪৭ কোটি ৩০ লাখ টাকা। অন্যদিকে অনুসন্ধানে বৈধ উৎস পাওয়া গেছে ৭১ কোটি ৪৯ লাখ টাকার। অর্থাৎ বৈধ আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে ৭৫ কোটি ৮০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ মিলেছে। এজন্য দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

২০১৬ সালে প্রকাশিত বহুল আলোচিত পানামা পেপারসে নাম আসে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর। অভিযোগ রয়েছে, তার মালিকানাধীন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ও উন্নয়নকাজের নামে প্রভাব খাটিয়ে তিনি বিপুল অর্থ আত্মসাৎ করেন।