দুর্নীতি মামলার রায় পেছালো গয়েশ্বরের

Bangla Post Desk
বাংলা পোস্ট প্রতিবেদক
প্রকাশিত:২৮ আগস্ট ২০২৫, ০৩:৫৭ পিএম
দুর্নীতি মামলার রায় পেছালো গয়েশ্বরের
ছবি : সংগৃহীত

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মমলার রায় পিছিয়েছে। রয়ের জন্য আগামী ৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক মুহা. আবু তাহেরের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ রায় প্রস্তুত না হওয়ায় নতুন দিন ধার্য করেন বিচারক। এর আগে, মামলার যুক্তিতর্ক শেষে রায়ের জন্য ২৮ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।

মামলার নথি সূত্রে জানা গেছ, ২০০৯ সালের ৫ জানুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক এস এস মফিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। পরে তদন্ত শেষে একই বছরের ৫ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তিনি। এরপর ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মামলার অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর তৎকালীন বিচারক মোজাম্মেল হোসেন। মামলার বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রভুক্ত ৪৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৯ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রায়ের বাজারে গয়েশ্বরের একটি ছয়তলা বাড়ি, যার নির্মাণ ব্যয় ৪০ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং কেরানীগঞ্জে পৈত্রিক জমিতে তার বাড়ির নির্মাণ ব্যয় ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা উল্লেখ করা হয়। অথচ গণপূর্ত বিভাগ থেকে ওই বাড়ি দুটির অতিরিক্ত নির্মাণ ব্যয় পাওয়া যায় ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৫০৫ টাকা, যা গয়েশ্বরের গোপন করা এবং জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ। এছাড়া গয়েশ্বরের বাসায় ব্যবহার্য ৫৮ হাজার ৬০০ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী পাওয়া যায়, যা তার ঘোষণা ও জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ২০০৪-২০০৫ সালে ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ার সুবাদে অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মের্সাস আব্দুল মোনেম লিমিটেড ও রেজা কনট্রাকশন লিমিটেড নামে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা গ্রহণ করেন, যা তার অবৈধ অর্জন। তার বাড়ি নির্মাণ, ইলেকট্রনিক সামগ্রী এবং অবৈধভাবে অর্থ আদায়ের মাধ্যমে অর্জিত মোট সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৮৬ লাখ ৯৫ হাজার ১০৫ টাকা। এসব অর্থ সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।