পুলিশ কর্মকর্তার মামলায় খালাস পেলেন সাংবাদিক ইলিয়াস


মিতু হত্যা মামলায় মিথ্যা ও অসত্য তথ্য সরবরাহ করা এবং তা প্রচারের অভিযোগে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সাবেক প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন ইউটিউবার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন।
বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক নুরে আলম তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন। ট্রাইব্যুনালের পেশকার মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন কোনও সাক্ষী আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত সাক্ষ্য শেষ করে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেন বিচারক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ধানমন্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলাম ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় চার জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত ২০২৩ সালের ২৫ জুলাই ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জুলফিকার হায়াত অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে সাবেক এসপি বাবুল আক্তার ও তার পিতা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়াকে অব্যাহতি দেন। একইসঙ্গে অপর আসামি সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন ও বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে গ্রহণ করেন।
২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলায় বাবুলের ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবুকে অব্যাহতি দেন ও ইলিয়াসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচার শুরু করেন। মামলার বিচার চলাকালে ১৩ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।