সরকারি কাজে বাধা: কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল কারাগারে


সরকারি কাজে বাধা ও বেআইনি সমাবেশের অভিযোগে ২০১৭ সালের পল্টন থানার নাশকতার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৮ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সকালে শহিদুল ইসলাম বাবুল মামলাটিতে আপিলের শর্তে আদালতে আত্মসমর্পণ করে তার আইনজীবী নিহার হোসেন ফারুকের মাধ্যমে জামিন চান।
২০২৩ সালে এ মামলায় দণ্ডবিধির পৃথক দুই ধারায় শহিদুলের সাড়ে তিন বছরের সাজা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী জানান, এই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করবেন তারা। সেখানে ন্যায় বিচার পাবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
২০২৩ সালের ২৩ নভেম্বর শহিদুল ইসলাম বাবুলকে এ মামলার রায়ে এক ধারায় আড়াই বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেক ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে সাত দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কক্সবাজার সফর শেষে গুলশান যাওয়ার পথে দলের নেতাকর্মীরা পল্টন এলাকায় সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। ভিআইপি রোড বন্ধ করে ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ওই ঘটনায় পল্টন মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল এ মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা একই থানার উপ-পরিদর্শক আতাউর রহমান।