সিরিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত ১৫
![Bangla Post Desk](https://dailybanglapost.com/media/setup/author/bangla-post-logo-web-20240704120658.png)
![সিরিয়ায় গাড়িবোমা বিস্ফোরণে নিহত ১৫](https://dailybanglapost.com/media/imgAll/BG/2025February/syria-car-bomb-20250203153319-bp-bp-20250203155737.jpg)
সিরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় আলেপ্পো প্রদেশের মানবিজ শহরে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। সোমবার মানবিজে এই বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটেছে বলে সিরিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা সানার খবরে বলা হয়েছে।
গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীদের আন্দোলনের মুখে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটে। এরপর থেকেই দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে হামলার ঘটনা ঘটেছে। সানা বলেছে, গত তিন দিনে দ্বিতীয় বারের মতো মানবিজে হামলার ঘটনা ঘটেছে সোমবার।
তুরস্ক সীমান্ত থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মানবিজে হামলার এই ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা উদ্ধার সংস্থা বলেছে, গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন নারী এবং একজন পুরুষ। বিস্ফোরণে আরও ১৫ জন নারী আহত হয়েছেন।
দেশটির একজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন, বিস্ফোরণে হতাহতরা কৃষি শ্রমিক। এই ঘটনায় প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
সিরিয়া যুদ্ধের সময় মানবিজ শহরের নিয়ন্ত্রণে বহুবার বদল ঘটেছে। ডিসেম্বরে তুরস্ক-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো মার্কিন সমর্থিত সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্সেসের (এসডিএফ) হাত থেকে শহরটির দখল পুনরুদ্ধার করে।
এর আগে, ২০১৬ সালে জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের কাছ থেকে শহরটির দখল নেয় এসডিএফ। গত শনিবার মানবিজে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে অন্তত চার বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানি ঘটে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে সানার প্রতিবেদনে জানানো হয়।
গত ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর তুরস্ক-সমর্থিত সিরিয়ার ক্ষমতাসীন সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলোর মাঝে ব্যাপক বৈরীতা তৈরি হয়েছে। এর মাঝে সিরিয়ায় কুর্দিপন্থী যোদ্ধাদের অস্ত্র সমর্পণের পরামর্শ দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তিনি বলেছেন, কুর্দি যোদ্ধারা যদি অস্ত্র সমর্পণ না করেন, তাহলে তাদের মাটিতে পুঁতে ফেলা হবে।
সিরিয়ায় তুর্কি বাহিনী ও তাদের মিত্ররা বাশার আল-আসাদের পতনের পর থেকে সেখানে কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে আঙ্কারা বারবার জোর দিয়ে বলেছে, কুর্দিপন্থী ওয়াইপিজি মিলিশিয়া গোষ্ঠীকে অবশ্যই বিলুপ্ত করতে হবে। তুরস্ক বলেছে, সিরিয়ার ভবিষ্যতে এই গোষ্ঠীর কোনও স্থান নেই। সিরিয়ায় নেতৃত্বে পরিবর্তন ঘটায় দেশটির কুর্দিপন্থী প্রধান প্রধান উপদলগুলো কিছুটা আড়ালে চলে গেছে।